/ অপরাধ / আচরণবিধি লঙ্ঘন চলছেই, দক্ষিণখানে নির্বাচনী অফিস ভাংচুর
আচরণবিধি লঙ্ঘন চলছেই, দক্ষিণখানে নির্বাচনী অফিস ভাংচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক:
|
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র সপ্তাহ খানেক বাকি থাকলেও প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটকে কেন্দ্র করে রেকর্ড শোকজ, তলব, মামলা ও জরিমানার পরও প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন থামছে না। কমিশনের রক্তচক্ষুকে আড়াল করে সারা দেশে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হুমকি-ধামকি, হামলা ও পোস্টার ছেড়াসহ নানাভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন বেপরোয়া প্রার্থীরা। এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ কমিশন। গতকালও কয়েক জন প্রার্থী ও তাদের সমর্থককে শোকজ করেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। এছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কয়েক জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে কমিটি। যদিও কমিশন বলছে, দোষীদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর পরও নিয়ন্ত্রণে না এলে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তের দিকে যাবে কমিশন। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের বেগমগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মামুনুর রশীদ কিরণ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মিনহাজ আহমেদ জাবেদের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় এটিএন বাংলার গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে এটিএন বাংলার ক্যামেরা পার্সন এহসানুল গনি স্বজনসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা-১৮ আসনে দক্ষিণখানের দক্ষিণ মোল্লারটেক এলাকায় বায়তুল মামুর জামে মসজিদ সংলগ্ন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ খসরু চৌধুরীর কেটলি মার্কার নির্বাচনী অফিসে হামলা ভাংচুর করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক মার্কার এস.এম তোফাজ্জল হোসেনের সমর্থকরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারের নেতৃত্বে এই হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কেটলির সমর্থকরা। কেটলির লোকজনদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না নিতে হুমকিও দেন আক্তার। এদিকে উক্ত আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক মার্কার এস.এম তোফাজ্জল হোসেনের সমর্থনে কাজ করছেন ৪৯ ও ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। অভিযোগ এসেছে এই দুই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিস থেকে ভোটারদের ফোন করে বলা হচ্ছে (যাদের টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড আছে), 'ট্রাক মার্কায় ভোট না দিলে টিসিবির কার্ড বাতিল হয়ে যাবে।' এমন ফোন পেয়ে না বুঝে বিশ্বাস করে অনেকে আতঙ্কিত হচ্ছেন। মনে করছেন সত্যি সত্যি ট্রাক মার্কায় ভোট না দিলে টিসিবির কার্ড বাতিল হয়ে যাবে। আর যারা বিশ্বাস করছেন না তারা বলছেন, টিসিবির কার্ড কাউন্সিলররা বাদ করার কে? এই কার্ড আমাদের দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্যান্য প্রার্থীরা বলেছেন এমন ফোন করা আচরণবিধি লঙ্ঘন। ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা শুরুর আগে ও পরে নানাভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। প্রার্থী ও সমর্থকদের পরস্পর অভিযোগ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত নিউজ এবং ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে এসব ঘটনায় রেকর্ড সংখ্যক ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি, আচরণবিধি লঙ্ঘন, রাজনৈতিক সহিংসতা তারা যেন এটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন এবং ভোটের দিন যেন একটি সহজ-স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকে। |