চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় হেদায়েত উল্লা (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। একই দিন  ১৪  নভেম্বর  মঙ্গলবার সকালে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের ষোলদানা গ্রামের ভ‚ঁইয়া বাড়িতে  পানিতে ডুবে একটি শিশুর মৃত্যু ঘটে।  
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮ সময় চাঁদপুর-ল²ীপুর আ লিক মহাসড়কের ফরিদগঞ্জের চতুরা এলাকায় রাসবতার বিপরীত পাশে যাওয়ার সময় একটি মাইক্রোবাস তাকে চাপা দেয় ।
নিহতের ভাই জাকির হোসেন জানান, আমার মেঝ ভাই হেদায়েত উল্লা’র ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার চতুরা ব্রিজ ও চাঁদপুর-ল²ীপুর আ লিক মহাসড়কের পাশে একটি চায়ের দোকান রয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে তিনি প্রতিদিনের ন্যায় তার চায়ের দোকানটি খোলেন। দোকানে চিনিসহ অন্যান্য সামগ্রীর প্রয়োজন হওয়ায় তিনি তা ক্রয়ের জন্য বিপরীত পাশে^র দোকানে যাওয়ার সময়ে রায়পুরগামী একটি মাইক্রোবাস তাকে চাপা দিয়ে দ্রæত পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা  উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চাঁদপুর রেফার করেন। পরে চাঁদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরিবারের সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সের প্রস্তুতির সময়ে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
হেদায়েত উল্লা ফরিদগঞ্জ পৌরসভাধীন পশ্চিম বড়ালী গ্রামের আজিম পাটওয়ারী বাড়ির মৃত হামিদ পাটওয়ারীর ছেলে। তিনি দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।
অন্যদিকে জেলার ফরিদগঞ্জে খেলতে গিয়ে পুকুরে পড়ে ওমর ফারুক নামে দেড় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওমর ফারুক ৬নং গুপ্টি ইউনিয়নের ষোলদানা গ্রামের ভুইয়া বাড়ির বোরহান উদ্দিনের ছেলে।
ওমর ফারুকের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, এদিন সকালে শিশুটি খেলা করতে গিয়ে সকলের অগোচরে ঘরের পাশের পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে লোকজন তাকে উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।