/ সারাদেশ / ফরিদগঞ্জ পৌরসভার অভিমুখে সোয়ারেজের ময়লা আবর্জনাযুক্ত পানি মাড়াতে হচ্ছে
হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রি, মুসল্লি ও জনসাধারনকে
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার অভিমুখে সোয়ারেজের ময়লা আবর্জনাযুক্ত পানি মাড়াতে হচ্ছে
কামরুজ্জামান,ফরিদগঞ্জ(চাঁদপুর):
|
ফরিদগঞ্জ পৌরসভা এখন পৌরবাসীর বিষফোড়া। রাতের অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে প্রতিটি ওয়ার্ড মনে হবে কোন বিচ্ছিন্ন এলাকা, সডকে বিদ্যুৎ সুবিধা না থাকায় সন্ধার পর প্রতিটি ওয়ার্ডে ভীতিকর পরিবেশ তৈরী হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের নেই তেমন সুবিধাজনক অবস্থা। যতটুকু ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে তার নেই কোন সংস্কার বা পরিষ্কারের উদ্যোগ।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভা প্রবেশের অভিমুখে অর্থাৎ হাইওয়ে থেকে বাসস্ট্যান্ড লিংকরোড দিয়ে ফরিদগঞ্জ সদরে প্রবেশের মুখে ড্রেন থেকে ময়লা আবর্জনাযুক্ত পানি বের হয়ে রাস্তার উপর দিয়ে গড়াতে থাকে। যেখান দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক যাতায়ত করে। দুর্গন্ধয়ুক্ত ময়লা পানি মাড়িয়ে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসা এবং মসজিদের মুসল্লিযরাই যাতায়ত করেন না। ঐ অংশটুকু দিয়ে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষ অতিক্রম করতে হয়, ফরিদগঞ্জ সদরে আসার জন্য। এ ময়লা পানির ভোগান্তি দির্ঘ ১৫দিন যাবৎ চলছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি প্রশাসনসহ পৌরসভার সকলেই অন্ধের ভ্যান করছে। পৌরসভার সচীব শাহ সুফিয়ান খাঁন বলেন আমিও প্রতিদিনই ওখান দিয়ে আসি এবং বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। পরিচ্ছন্নকর্মীদের দায়িত্বে থাকা পৌরসভার ক্যাশিয়ার গিয়াস উদ্দিনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু কেন দেরী হচ্ছে জানি না। তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, মোট ৪৬জন কর্মচারী মাষ্টাররুলে নিয়োগ দেয়া আছে এবং বিভিন্ন বিভাগে কাজ করছে। তম্মধ্যে ১৭জন রয়েছে সুইফার, তাদের এ বিষয়গুলি দেখার কথা। বাকী ৩৫জনের কেউ কেউ ভাতা গ্রহন করলেও তাদের পদ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। মিড়িয়া উইংস নামে একটি অলিখিত পদ আছে যা বাংলাদেশের কোন পৌরসখায় নেই। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে স্বীকার করেন অদ্যাবদী পৌরসভায় কোন ক্যাশিয়ার, হিসাব রক্ষক বা একাউন্টস অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়নি। কেন দেয়া হচ্ছে না তা জানি না। পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা জানান, পৌরসভার এ্যাসেসর যিনি প্রথম থেকেই সকল মেয়রদেরকে বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার কারনে ভারপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করছেন। এ্যাসেসর গিয়াস উদ্দিন পৌরসভার কোন্ ষ্টাফ থাকবে কাকে বাদ দিবে কার বিরুদ্ধে কোন্ মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মেয়র কর্তৃক নাজেহাল করা হবে তারও মুখ্য ভুমিকা পালন করেন। গতকাল রবিবার ফরিদগঞ্জের সাংসদ সাংবাদিক সফিকুর রহমান ঐ ময়লাযুক্ত পানি মাড়িয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে অবরোধ বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেম করতে দেখা গেছে। ঠিক একই সময়ে পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের কার্য সহকারী শরিফ হোসেনকে বাইক নিয়ে ময়লা পানির মধ্যে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এসকল বিষয়ে এবং পৌরবাসীর দুর্দশা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন বলেন। আমরা কিছু কিছু কাগজে স্বাক্ষর করা ছাড়া কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার তেমন স্বাধীনতা নাই। প্যাণেল মেয়র আব্দুল মান্নান পরান বলেন, পৌরসভার তোন ওয়ার্ডেই লাইটের ব্যবস্থা ছিল না তবে, আশা করছি অদুর ভবিষ্যতে নাগরিকরা পৌর সুবিধা ভোগ করবে। বাস¯ট্যান্ডে ময়লা পানি উপচে পড়ার বিষয়টি দেখেছি এবং সুইফারদের বলেছি দ্রæত সমাধান করতে। ৭নং ওয়ার্ড ও বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কমিশনার মোহাম্দ হোসেন বলেন, দুরাবস্থা ও দুর্দশার কথা বলেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ভারপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ার গিয়াস উদ্দিন এ বিষয়গুরি তদারকী করার কথা, কিন্তু সে সারাদিন ব্যাস্ত থাকে তৈল মর্দনে। আমরা যথাযত চেষ্টা করেও নাগরিকদের সেবা প্রদান করতে পারছি না। |