/ সারাদেশ / পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করলো ভারত
পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করলো ভারত
নতুন বার্তা, হিলি:
|
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার। রবিবার (২০ আগস্ট) থেকে এই নতুন শুল্ক কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। এতে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
শনিবার রাতে ভারত সরকারের ডেপুটি সেক্রেটারি অমরিতা তিতুস স্বাক্ষরিত এক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে এই শুল্ক আরোপের বিষয়টি জানানো হয়। রবিবার থেকেই শুরু হয়ে এই শুল্ক আরোপ চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, ‘শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ভারতীয় রফতানিকারকরা একটি নোটিফিকেশন পাঠিয়েছেন। তাতে জানানো হয়েছে, পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে ভারত সরকার ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছে। এতদিন শুল্কমুক্ত পণ্য হিসেবে রফতানি হলেও রবিবার থেকেই নতুন এই শুল্ক পরিশোধ করে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানি করতে হবে। নতুন এই শুল্ক আরোপের ফলে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও দাম কিছুটা বাড়তে পারে।’ হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ করেই ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ভাগ শুল্ক আরোপ করেছে। এটি দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে প্রভাব পড়বে। সরকারকে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার। ভারতকে শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ করতে হবে। তা না হলে পেঁয়াজের দাম বাড়বে।’ এদিকে, শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৪১টি ট্রাকে এক হাজার ২০৬ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। বন্দর দিয়ে নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। প্রসঙ্গত, কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট দফতর। এতে ১৬ মার্চ থেকে দেশের সবগুলো স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দেশি পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ৪ জুন কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ৫ জুন থেকে আবারও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। |