/ সারাদেশ / গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারীর প্রতিবন্ধী ভাড়াটিয়াকে শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারীর প্রতিবন্ধী ভাড়াটিয়াকে শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ
আসাদুজ্জামান বাবুল/ ফকির মতিয়ার রহমান মতি, গোপালগঞ্জ থেকে:
|
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের আরামবাগ এলাকার নোমান হোসেন তমাল ও তার স্ত্রী আইরিন আক্তার আশার বিরুদ্ধে জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আমীর হামজার বাসার ভাড়াটিয়া প্রতিবন্ধী শানুকে মারপিট এবং আমীর হামজা ও তার বাবা মদিনা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি হানিফ কাজীসহ তার পরিবারের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে।
আজ বুধবার (১২) জুলাই বিকেল ৪টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলা শহরের আরামবাগে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে প্রতিবন্ধী শানু বেগম ও মো, হানিফ কাজী এ অভিযোগ করেন। গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আমীর হামজার বাড়ীর ভাড়াটিয়া প্রতিবন্ধী শানু বেগম অভিযোগের বিষয়ে বলেন, গত ১০ জুলাই আনুমানিক সকাল ৮টার দিকে আমাদের বাসার প্রধান গেটটি বাতাসে রাস্তার দিকে চলে যায়। এ সময় প্রতিবেশি আইরিন আক্তার আশা গেটে লাথি মারে। প্রতিবাদ করলে তারা স্বামী-স্ত্রী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ আমার রুমের ভিতর ঢুকে মারপিট করে। জরিনা বেগম ও নাসিমা বেগম নামে দুই মহিলা ঠেকাতে গেলে আশা ও তার স্বামী তমাল তাদেরও মারপিট করে। আমার চিৎকার শুনে বাড়ীর মালিক মো, হানিফ কাজী ও তার ছেলে জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আমীর হামজা দোতলা থেকে নিচতলায় এসে আমাকে উদ্ধার করে। গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আমীর হামজার প্রবাসি বাবা মো, হানিফ কাজী উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের সামনে হাউমাউ করে কেঁদে বলেন, আমি ২৭ বছর সৌদি আরবের মদিনায় ছিলাম। মদিনায় আমি আওয়ামীলগের সভাপতি ছিলাম। আমীর হামজা আমার বড় ছেলে। সে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। আমি গর্বিত যে আমার ছেলে কোন সিগারেট বিড়ি কিছুই খায়না। রাজনৈতিকভাবে আমার ছেলে হামজার ভাবমুতি নষ্ট করার জন্য প্রতিবেশি নোমান হোসেন তমাল ও তার স্ত্রী আইরিন আক্তার আশা পরিকল্পিতভাবে এ গুলো করে আমার ছেলে ও আমার পরিবারের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। তার বাস্তব প্রমান হচ্ছে, প্রতিবেশি আইরিন আক্তার আশা আমার ছেলে আমীর হামজাসহ পরিবারের সকলের নামে থানায় যে অভিযোগ করেছেন ওই অভিযোগে যাকে সাক্ষী রেখেছেন সে বঙ্গবন্ধু কলেজের একজন পিয়ন। তার নাম বাবুল। সে বলছে, আমিতো কিছু জানিনা, কিছু দেখি নাই, তো আমিতো আর মিথ্যা সাক্ষী দিবোনা। হানিফ কাজী আরো বলেন, আইরিন আক্তার আশা এই পাড়ার সকল মুরব্বিদের নাম ধরে ডাকে। সব মানুষের সাথে দুর ব্যবহার করে। তার যন্ত্রনায় এলাকার মানুষ অতিষ্ট। আমি তার কঠোর শাস্তি দাবী করছি। এ বিষয়ে আইরিন আক্তার আশা বলেছেন, জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আমীর হামজার বাবা মো, হানিফ কাজী ও তাদের ভাড়াটিয়া প্রতিবন্ধী শানু বেগমের অভিযোগ ঠিক না। তারা প্রতিনিয়ত আমাদের পুকুরের ভিতর ও পাড়ে ময়লা-আবজনা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়েছে। পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সকলকে মিলে মিশে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। |