ঢাকার অতি নিকটেই সাভার, আর এখানে  একটি ইউনিয়ন বিরুলিয়া এই ইউনিয়নে একটি গ্রাম গোলাপ গ্রাম নামে পরিচিত।
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মানুষ   তাদের  কর্মজীবন নিয়ে  ব্যস্ত সময় পার করে থাকেন, কিন্তু   ছুটির দিন হলেই গোলাপ বাগানে বিভিন্ন জেলার মানুষ গোলাপের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য   বাগান গুলো দেখতে ছুটে চলে আসেন।
বিরুলিয়া ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, শ্যামপুর, বাগ্নিবাড়ি, মৈস্তাপাড়া, সাদুল্লাহপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাগান গুলোতে শোভা পাচ্ছে লাল গোলাপ।
 
পাশাপাশি ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই গোলাপের চাহিদা বাড়ছে  ফুলের দোকান গুলোতেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হওয়ায় বাড়তি লাভের আশায় বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন ফুলচাষীরা। চলতি মৌসুমে কয়েকটি দিবস ঘিরে প্রায় ২০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি অফিস।

জোসনা আক্তার  নামে এক দর্শনার্থী বলেন, স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে  গোলাপ গ্রামের সৌন্দর্য্য দেখেছি ঘরে বসে ।কিন্তু বাস্তবে দেখার জন্য ইচ্ছে ছিল   অনেক আগে থেকেই, এখানে আসার পরিকল্পণা করেছিলাম। আজ পরিবারের সাথে গোলাপগ্রাম দেখতে এলাম। আবার দোকানের চাইতে এখানে গোলাপের দামও অনেক কম। আমরা ৫-৬  টা গোলাপ  কিনেছি খুব ভালো লাগছে।

শ্যামপুর এলাকার ফুল চাষী সাকিবুল হাসান বলেন, আমার তিন বিঘা জমির উপর বাগান আছে। প্রত্যেক বিঘা থেকে প্রতিদিন আমি ৫০০-৬০০ গোলাপ তুলতে পারি। এবার বাগানে ফলন খুব ভালো হইছে। আমাদের ফুলের বাজারও খুব ভালো। বর্তমানে ৩-৪টাকা পিস গোলাপ বিক্রি হচ্ছে বাগান থেকে। প্রতিদিনি আমি ১০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করতেছি। সামনে পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস আছে। আশাকরি ২-৩ লাখ টাকার ফুল আমি বিক্রি করতে পারব।

সাভার উপজেলা কৃষি অফিসার নাজিয়াত আহমেদ বলেন, বিরুলিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ২৮০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ চাষ হয়। এর মধ্যে ২৫০ হেক্টর জমিতেই শুধুমাত্র বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ চাষ হয়ে থাকে। এবছর বিরুলিয়ায় গোলাপের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। অন্যান্য বছর ৭-৮ মাসের মৌসুমে ১০-১২ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর আমরা প্রায় ২০ কোটি টাকা ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। বিরুলিয়ার ইউনিয়নের গোলাপ বাগানের।