/ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি / প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর পাশে থাকার আহবান বেসিস পরিচালক দেলোয়ার হোসেন ফারুকের!
প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর পাশে থাকার আহবান বেসিস পরিচালক দেলোয়ার হোসেন ফারুকের!
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর বর্তমান পরিচালক দেলোয়ার হোসেন ফারুক এবার নির্বাচন করছেন এ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরী থেকে। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মাঝে রয়েছেন বেসিস এর সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) একাউন্ট থেকে ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় তৎকালীন ট্রেজারার এ কে এম ফাহিম মাশরুরের বিরুদ্ধে এখনো আদালতে মামলা চলছে। ফাহিম মাশরুর আগামি ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য বেসিস নির্বাচনে অ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই বিষয়ে অনেকে অভিমত দিয়েছেন, অর্থ কেলেঙ্কারির মত ঘটনায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হওয়া একজন বিতর্কিত ব্যাক্তির হাতে বেসিসের নেতৃত্ব তুলে দেয়া যায়না। সব ফাঁক-ফোকর জানা আছে এমন ব্যাক্তির হাতে ফের বেসিস নেতৃত্ব গেলে তা পুরো আইসিটি সেক্টরের জন্যই হুমকি। জানা গেছে, ২০০৬ সালে ফাহিম মাশরুরর ট্রেজারার থাকা অবস্থায় বেসিসের এ্যকাউন্টে ১৪ লাখ টাকার হিসাব মিলছিলো না। বিষয়টি আড়াল করতে ফাহিম মাশরুর তৎকালীন একাউন্ট অফিসার নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের মামলা করেন। কিন্তু ট্রেজারারের সাক্ষরে বেসিসের ব্যাংক একাউন্ট পরিচালিত হতো বলে আদালত নুরুজ্জামানকে এ মামলা থেকে খালাস দেন। খালাস পাবার পর নুরুজ্জামান ফাহিম মাশরুরকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন, যা এখনো বিচারাধীন। অভিযোগের তীর যার বিরুদ্ধে তার পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন তারই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বর্তমান বেসিস পরিচালক দেলোয়ার হোসেন ফারুক। তিনি এক ফেইসবুক ষ্ট্যাটাসে লিখেন, " যখন দেখবেন আপনার যোগ্যতাকে কেউ ভয় বা ঈর্ষা করছে তখন ভাববেন যে আপনি সঠিক পথেই আছেন। এইবার এ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরীতে নির্বাচন করতে এসে নানান ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছি, সেগুলোকে আমি ইতিবাচক দিক হিসেবেই ধরে নিচ্ছি এবং তা উপভোগও করছি। নির্বাচনের ময়দান আসলেই অনেক রহস্যময় ! সবচাইতে বেশী উপভোগ করছি আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে নিয়ে। আমার বিরুদ্ধে যিনি নির্বাচন করছেন তাঁর কাছে এক সময় আমাদের আবেগের সংগঠন বেসিসের পতাকা ছিল, তিনি এক সময় ক্ষনিক সময়ের জন্য সভাপতি হিসাবে বেসিসের পতাকা বহন করেছিলেন। তাই এবারের নির্বাচনেও তাঁর কাছ থেকে কিছু নির্বাচনী প্রচার কৌশল শেখার চেস্টা করছি। আশাকরি তিনি আমাদের ভালো কিছু শেখাবেন এবং সেটি হবে কৌশল, অপকৌশল নয়। অন্যদিকে আমি, জামান ভাই অথবা শাহজালাল ভাইকে যারা সহযোগিতা করতে চান তাদেরকেও অনুরোধ করবো কোন ব্যক্তিগত কাদা ছোঁড়াছুড়ি না করে ব্যালটের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীকে বাচাই করতে সহযোগিতা করুন। ফাহিম ভাই বেসিসের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই পর্যন্ত ১১টি বোর্ডের মধ্যে ৫টি বোর্ডে দায়িত্ব পালন করেছেন, কিছু ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে। অন্তত বেসিসের সাবেক সভাপতি হিসাবে সেসব বিষয়গুলি সামনে না আনার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা যদি সভাপতির পদটাকে সম্মান দেখাতে না পারি তাহলে অন্য সংগঠনের মানুষ আমাদেরকে ভালো বলবে না। হ্যাঁ, ফাহিম ভাই সাবেক সভাপতি হয়েও কেন ইয়াংদের প্ল্যাটফর্ম এ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরীতে নির্বাচন করতে আসছেন! এই বিষয়ে আপনাদের ক্ষোভ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এমনোতো হতে পারে উনি নতুন কোন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে এসেছেন। তাই সকল ভোটার ও শুভানুধায়ীদের কাছে আমার উদাত্ত আহবান, আসুন আমরা ব্যক্তিগত হানাহানি ভুলে গিয়ে ব্যালটের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব বাচাই করি এবং আগামীদিনের সমৃদ্ধ বেসিস গড়তে সহযোগিতা করি।" এই বিষয়ে জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন ফারুক জানান, ফাহিম ভাই আমার সিনিয়র। তিনি দীর্ঘদিন বেসিসের সাথে যুক্ত। তার অতীতের কোন কর্মকান্ড যদি সামনে এসে যায়, সেটা সংগঠন হিসেবে বেসিসেরই বদনাম। আমরা সবাই বেসিসকে ভালবাসি। আর সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। ফাহিম মাশরুরের অর্থ কেলেঙ্কারির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। |