/ সারাদেশ / ঠাকুরগাঁওয়ে ৪ লেন রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
ঠাকুরগাঁওয়ে ৪ লেন রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও:
|
সড়ক ও জনপদ বিভাগ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দিলেও জমি অধিগ্রহণের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণের কাগজপত্র তাদের কাছে আছে। ঠাকুরগাঁও শহরে ইজিবাইক বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি শহরে যানজট ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এতে পথচারীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ অবস্থায় ঠাকুরগাঁও চৌরাস্তা থেকে বালিয়াডাঙ্গী মোড় পর্যন্ত ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার চার লেন রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ডিভাইডার, ২টি ব্রিজ ও ২টি কালভার্ট নির্মাণে ডিপিপিতে ব্যয় ধরা হয় ৬২ কোটি টাকা। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক পানি সম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন এই রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, সড়ক ও জনপদ বিভাগ একপাশের স্থাপনা রক্ষার্থে অন্য পাশের স্থাপনা ভাঙার জন্য চিহ্নিত করেছে। এতে রাস্তা বাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত জেলা জজকোর্ট ও আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় রক্ষার্থে রাস্তার বিপরীতপাশের স্থাপনা উচ্ছেদের এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শহরের আর্টগ্যালারি এলাকার বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফয়জুল ইসলাম পলাশ এবং ঠাকুরগাঁও রোড এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হক মাস্টার জানান, সড়ক ও জনপদ বিভাগ কিছু ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে সন্তুষ্ট করতেই রাস্তাকে সাপের মতো আঁকাবাঁকা করে ফেলেছে। তারা জানান, জজ কোর্টের প্রাচীর এবং আওয়ামী লীগ অফিস রক্ষার্থে বিপরীর পাশে রাস্তা সরিয়ে দিয়েছে। এতে জামে মসজিদের মার্কেট ভাঙার নোটিস দেয়ায় মসজিদের মুসল্লিদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। শহরের হঠাৎপাড়া ও জলেশ্বরিতলার বাসিন্দারা জানান, চৌরাস্তা এলাকায় রাস্তার উভয় পাশে ৫/১০ ফিটের মধ্যে স্থাপনা অপসারণের জন্য লাল চিহ্নিতকরণ করা হলেও তাদের এলাকায় রাস্তার উত্তর পাশে ১০০ ফিট এবং রাস্তার দক্ষিণ পাশে ১৫০ ফিট জমিতে লাল চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে। এতে ভূমিহীন হয়ে অনেককেই পথে বসতে হবে। এ অবস্থায় রাস্তার জন্য প্রয়োজনীয় জমি ছেড়ে দিতে রাজি হলেও অতিরিক্ত জমি থেকে উচ্ছেদ না করার দাবি জানিয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মুখলেছুর রহমান জানান, হঠাৎপাড়া ও জলেশ্বরিতলার যেসব জমি লাল চিহ্নিত করা হয়েছে তা সরকারের সম্পদ। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার নেই। জমি অধিগ্রহণের কাগজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাস্তাটি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণের যাবতীয় কাগজপত্র আমাদের কাছে আছে। কেউ প্রয়োজন মনে করলে অফিসে এসে দেখে যেতে পারেন। |