/ সারাদেশ / ঝালকাঠির রানাপাশা ইউপি চেয়ারম্যানের যৌনকামনা থেকে বাঁচতে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আকুতী
ঝালকাঠির রানাপাশা ইউপি চেয়ারম্যানের যৌনকামনা থেকে বাঁচতে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আকুতী
আজমীর হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠি:
|
নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান, আ’লীগ নেতা, নারীলোভী ও ল্যম্পট মাসুদুর রহমান ছালাম (৪৫) এর যৌনকামনা চরিতার্থ ও লোলুপ দৃষ্টি থেকে বাঁচতে ঝালকাঠিতে সংবাদ সম্মেলনে করুন আকুতী জানিয়েছে একই গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী লাইজু আক্তার। মঙ্গলবার ঝালকাঠিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সম্মুখে পিতৃহারা অসহায় তরুনী লাইজু আক্তার আ’লীগ নেতা, ইউপি চেয়ারম্যানের নানা কুকর্ম তুলে ধরেন।
এমন কি প্রভাবশালী ইউপি চেয়ারম্যান ল্যম্পট ছালামের জিগাংসা পূরনের লক্ষে দলবল নিয়ে স্কুল ছাত্রী লাইজুর বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তার দাদীকে মারধর করে, তার স্বামী ইউনুস মোল্লাকে হত্যার জন্য খোজাখুজি ও বর্তমানে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনে বাধা সৃষ্টির চিত্র তুলে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। মঙ্গলবার বিকালে স্কুল ছাত্রী লাইজু বিষয়টি পুলিশ সুপার মোঃ জোবায়েদুর রহমানকে অবগত করলে তিনি তাৎক্ষনিক বিষয়টি অনুসন্ধানসহ নলছিটি থানার ওসিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন বলে সে ও তার পরিবার জানায়। ঝালকাঠিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লাইজু আক্তার বলেন, রানাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা মাসুদুর রহমান ছালাম বিগত ৬/৭ বছর পুর্বে বিয়ে করলেও তার নারী লোভী আচরন ও দু:শ্চরিত্রের কারনে বিবাহিত স্ত্রী তাকে ত্যাগ করে চলে যায়। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান তার জৈবিক কামনা চরিতার্থ করার জন্য উত্তর রানাপাশা গ্রামের মৃত. আফজাল কাজীর মেয়ে ও স্কুল ছাত্রী লাইজুর দিকে লোলুপ দৃষ্টি পরে। ল্যম্পট চেয়ারম্যান ছালাম তার কামনা পূরনের কৌশল হিসাবে তার মায়ের কাছে স্কুল ছাত্রী লাইজুকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও বয়স বেশী হওয়ায় তার পরিবার বিয়েতে রাজী হননি। সংবাদ সম্মেলনে সে আরো অভিযোগ করে, এরপূর্বে ল্যম্পট চেয়ারম্যান ছালাম লাইজু’র চাচাত বোন ১০ম শ্রেণির ছাত্রী সায়লা আক্তার কে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিলে সায়লাও উক্ত প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করে। এঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে চেয়ারম্যান ছালাম ঘটনা রটানোর পেছনে লাইজুর পরিবার দোষারোপ করে ও তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। চেয়ারম্যান তার লাঠিয়াল বাহিনী ও ইউপি চৌকিদার কে স্কুল ছাত্রীর বাড়ীতে পাঠিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকির মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করে। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে স্কুল ছাত্রীর বিধবা মা তড়িগড়ি করে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ ডেবরা নিবাসী মৃত. আব্দুল আজিজ মোল্লা’র ছেলে ব্যবসায়ী ইউনুস মোল্লা’র সাথে বিবাহ দেয়। এখবর তার কানে গেলে রানাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান, আ’লীগ নেতা ও ল্যম্পট মাসুদুর রহমান ছালাম আরো ক্ষিপ্ত ও উম্মাদ হয়ে পরে। এ অবস্থায় গত ৫ ফেব্রুয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান সালাম তার লাঠিয়াল বাহিনী ও ইউপি চৌকিদারদেরসহ আকস্মিক ভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে তখন প্রানের ভয়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়। এসময় তারা বসত ঘরে ডুকে ব্যপক ভাংচুর, লুটতরাজ চালায় ও স্কুল ছাত্রী লাইজুসহ তার স্বামী ইউনুস মোল্লাকে ঘরে না পেয়ে ঘরে থাকা বৃদ্ধ দাদী ও করিম মুন্সির ষাটোর্ধ্ব স্ত্রী নেহার বেগমকে সামনে পেয়ে বেদম মারধর ও লাঞ্চিত করে। এমন কি রাত আনুমানিক ৯ টার সময় চেয়ারম্যান সালাম নিজে ও তার লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে পুনরায় লাইজুকে তুলে নেওয়ার লক্ষে তার বসত ঘরের সামনে এসে লাইজুর ও তার স্বামী ইউনুসকে খোজাখুজি করে না পেয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশে দেয়া, খুন-গুমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা ল্যম্পট ছালামের ক্যাডার বাহিনী কারনে এসএসসি পরীক্ষার্থী লাইজু আক্তার পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছে ও লাইজুসহ পরিবারের লোকজনদের শেষ করে দিবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। বিষয়টি পুলিশ সুপার মোঃ জোবায়েদুর রহমানকে মুঠোফোনে জানালে তিনি গুরুত্বের সাথে দেখে এবং নলছিটি থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেনকে উত্তর রানাপাশা গ্রামে লাইজুর বাড়িতে পাঠায় এবং আইনি সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন ওসি সাখাওয়াত। এ ব্যাপারে রানাপাশা ইউপ চেয়ারম্যান, আ’লীগ নেতা মাসুদুর রহমান ছালামের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার ব্যবহৃত সেলফোনে বহুবার কল করলে গত মঙ্গল ও বুধবার দু’দিন ধরে সে তার ফোন ধরেনি। তবে চেয়ারম্যানের সমর্থক এক স্থানীয় ব্যক্তি তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সে ইউপ চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা ছালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এসব অপপ্রচার ও তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ষড়যন্ত্র বলে বোঝানোর চেষ্টা করেছে। |