/ শিক্ষা / ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রশ্ন প্রচার হলেও সিংহভাগই আইনের আওতায় বাহিরে
বন্ধ হচ্ছে না প্রশ্ন ফাঁস
ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রশ্ন প্রচার হলেও সিংহভাগই আইনের আওতায় বাহিরে
মোঃ খালেদ বিন ফিরোজ:
|
সরকারের নানা পদক্ষেপ ও হুঁশিয়ারির মধ্যে এবছর এসএসসি শুরু হলেও বন্ধ নেই প্রশ্ন ফাঁস।ফেসবুকে ১০০% নিশ্চয়তা দিয়ে প্রশ্ন ফাঁসের বিজ্ঞাপনও ব্যবসাও জমিয়ে চলছে। ঘটনা সূত্রে জানাগেছে বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে একযোগে একই প্রশ্নে সকল বোর্ডে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষার প্রথম দিন হতেই শুরু হয়েছে প্রশ্ন ফাঁস ও ফাঁসকৃত প্রশ্ন নিয়ে ব্যবসা ।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে একেকটা প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের হতে নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা হতে ১০০০ টাকা। অগ্রীম টাকা হাতে পাওয়ার পরে তাদের বিভিন্ন Messenger ও Whatsapps গ্রুপে এড করে রাত ১২ টার আগে লিখিত প্রশ্নের হান্ড রাইট কপি ও সকাল ৯ টার দিকে এমসিকিউ দেয়া হচ্ছে যেইগুলো পরীক্ষা নেওয়া বোর্ডের প্রশ্নের সাথে ১০০% করে মিল থাকছে। PSC • JSC • SSC • HSC Exam Helping Center গ্রুপে Ak Azad Chowdury একজন গণিত পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরে মোবাইল নাম্বার সহ পোষ্ট করেন “Ajker ssc exam 2018 math exam question 100% common dici and free... Next question nete caile just call me...01760-082169” SSC Question Out নামক গ্রুপে MD Al Mamun নামের একজন পরীক্ষার প্রশ্নের ছবি দিয়ে পোষ্ট করেন "১০০% কমন দিলাম আজকেও। পরবর্তী প্রশ্নের জন্য inbox me...." একই নামের SSC Question Out গ্রুপে Saim KHan Sami নামে মোবাইল নাম্বার সহ পোষ্ট করেন "ssc এর প্রশ্ন লাগলে দ্রত যোগাযোগ করুন। ১০০% কমন নিশ্চিত করে দিব। পরিক্ষার একদিন আগে প্রশ্ন দিব। ০১৮৬৯৯৩১১৫৯" একজন পরীক্ষার্থী জানায় প্রশ্ন ফাঁসের গ্রুপে কমেন্ট করার পরে Ornob Shuvo নামের আইডি হতে ইনবক্সে জানানো হয় ""প্রতি প্রশ্ন। ৬০০ করে. ৩০০। টাকা advance দিতে হবে..and পরিক্ষার পর ৩০০ টাকা দিতে হবে,Question দেওয়া হবে whatsapp গ্রুপ এ গ্রুপ এ অনলি ২০ জন নেওয়া যায়, ২০ জন এর বেশি নেওয়া হবে না। রাত ১২টা থেকে ৬ টার মধ্যে প্রশ্ন দিবো. বাংলাদেশের কেউ প্রশ্ন না পেলেও আপনি পাবেন ১০০০% সিউর. এখন আপনি বলতে পারেন আগে কেন টাকা দেব. কিন্তু প্রশ্ন পাওয়ার পর আর কেউ টাকা দেয় না.. যদি আমাদের একজন বিশ্বাস করে টাকা দিতে পারে তবে এক জন নিয়েই কাজ করবো..কথা ভালো লাগলে question নিবেন। না হলে নাই।। r only mcq ৩০০ "" ফেসবুক একটা পোস্ট চোখে পড়ে " যারা প্রশ্ন নিতে ইচ্ছুক তারা আমাকে ফেসবুকে এড দিয়ে ০১৭৬০২৬৩৯১৭ নাম্বারে কল দাও " উক্ত নাম্বারে ফোন দেওয়ার পরে শিক্ষার্থীর আচরণ করলে তিনি জানান আমাদের নিয়ম অগ্রীম দিতে হবে ৫০০ শত করে টাকা এবং আমরা রাতে লিখিত ও সকাল ৯টার ভেতর এমসিকিউ উত্তর পত্র দিবো , তিনি আরও জানায় অগ্রিম টাকা দেওয়ার পরে তোমাকে আমাদের গ্রুপে এড করা হবে এবং সেখানেই তোমাকে প্রশ্ন দেওয়া হবে। " যোগাযোগের একসময় সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরে তিনি বলেন "দেখুন ভাই আমরা পড়াশোনা শেষ করে এখন বেকার বসে আছি আপনি যেহেতু সাংবাদিক সেহেতু সত্য বলতে আমার ভয় নাই,তিনি প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দিয়ে বলেন এটা তাদের গাফেলতি তাদের বার্থতা আমরা চাকুরী না পেয়ে এই পথে আসতে বাধ্য হয়েছি। এছাড়াও Messenger ও Whatsapps গ্রুপে ০১৭৬৩০৯২০৮৯, ০১৮৭৯৮২৯৮১০ সহ বিভিন্ন নাম্বার প্রকাশ্যে দিয়ে শতভাগ নিশ্চয়তার বিজ্ঞাপন দিয়ে জমিয়ে করছেন ব্যবসা। তারা অগ্রীম ৫১০ টাকা করে নিয়ে নিয়ে Whatsapps গ্রুপে এড করে রাতে হান্ড রাইট ও সকাল উত্তরপত্র সহ এমসিকিউ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবং প্রথম পরীক্ষা হতেও এরা প্রশ্ন দিয়ে আসতাছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রশ্ন ফাঁসের দায়ে লিংকগুলোর ব্যাপারে বিটিআরসি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। এবং পরীক্ষা শুরুতে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া মাত্র পরীক্ষা বাতিল করবেন তিনি। |