/ সারাদেশ / যৌন হয়রানীর নালিশ করায় স্কুল ছাত্রীর বাবা-মাসহ ৪ জনকে বেধরক মারধর
যৌন হয়রানীর নালিশ করায় স্কুল ছাত্রীর বাবা-মাসহ ৪ জনকে বেধরক মারধর
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
|
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে যৌন হয়রানীর নালিশ করায় স্কুল ছাত্রীর বাবা-মা সহ ৪ জনকে পিটিয়েছে আহত করেছে বখাটেরা। এ ঘটনায় আইনি সহায়তা চেয়ে শুক্রবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করছেন স্কুল ছাত্রীর আহত হতদরিদ্র সবজি বিক্রেতা পিতা।’
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের রহমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া কালনীরচর গ্রামের হতদরিদ্র সবজি বিক্রেতা আবদুর রহিমের কিশোরী কন্যা বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে দ্বীর্ঘ কয়েকমাস ধরেই হয়রানী ও আপক্তিকর প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো একই গ্রামের বিএনপি নেতা মেন্দি মিয়া শ্যালক ডালিম নামের এক বখাটে। ডালিম পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জের নবীগগঞ্জ উপজেলার বাউশা গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে হলেও জগন্নাথপুরের কালনীরচর গ্রামে ভগ্নিপতি মেন্দির বাড়িতে বসবাস করে আসছিলো।’ এদিকে কিশোরীকে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে যৌন হয়রানী ও আপত্তিকর প্রস্তাব দিয়ে উত্তপ্ত করার বিষয়টি জানিয়ে বখাটে ডালিমের ভগ্নিপতি মেন্দি মিয়ার নিকট। ঘটনার শিকার স্কুলছাত্রী সারজানা বেগম বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। ঘটনাটি জানার পর স্কুলছাত্রীর পিতা আবদুর রহিম বখাটে ডালিমের দুলা ভাই মেন্দি মিয়ার কাছে এ ঘটনায় নালিশ করেন। এতে বখাটে ডালিম সহ তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার ভগ্নিপতি মেন্দি মিয়ার ভাতিজা লাল মিয়া ও হাসানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বখাটে সংঘবদ্ধ হয়ে আব্দুর রহিমের বাড়িতে ঢুকে পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। বখাটেরা বেধরক ভাবে মারধর করে যৌন হয়রানীর শিকার ৮ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী, তার পিতা আবদুর রহিম (৪৫), মা রুসনা বেগম (৩৮) , ভাই সাজন মিয়া (১৯) সহ একই পরিবারের ৪ জনকে আহত করে বসতবাড়িতে ভাংচুর করে বীরদর্পে চলে যায়।’ পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় আহতরা জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহন করেন।’ জগন্নাথপুর উপজেলার কালনীরচর গ্রামের বিএনপি নেতা মেন্দি মিয়ার নিকট এ বিষয়ে জানতে তার ব্যাক্তিগত মুঠোফোনে শনিবার একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ’ যৌন হয়রানীর শিকার স্কুলছাত্রীর আহত পিতা আবদুর রহিম শনিবার ববলেন, নালিশ করায় আমার স্কুল পড়ুয়া কিশোরী কন্যা সহ পরিবারের লোকজনকে বখাটেরা পিটিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি, বসতবাড়িতে ইচ্ছেমত ভাংচুর করেছে। তিনি আরো বলেন, আমি হতদরিদ্র সবজি বিক্রেতা। মেয়েকে বড় আশা নিয়ে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করাচ্ছিলাম। কিন্তু এখন হয়ত আমার মেয়ের লেখাপড়াই বন্ধ হয়ে যাবে বখাটেদের উৎপাতে।’ জগন্নাথপুর থানার ওসি মো. হারুন অর রশীদ চৌুধুরী হামলার ঘটনা ও অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে শনিবার সকালে বললেন, তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। |