/ আন্তর্জাতিক / নারী ও মেয়েশিশুদের মানবাধিকার রক্ষার্থে জাতিসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেলের আহবান
‘ফিমেল জেনেটিক মোটিলেশন’
নারী ও মেয়েশিশুদের মানবাধিকার রক্ষার্থে জাতিসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেলের আহবান
আরিফুর সাদনান , ঢাকা:
|
মহিলা যৌনাঙ্গের অঙ্গহানি যা দ্বারা গোটা বিশ্বের ৩০ টি দেশের ২০ মিলিয়ন মহিলা এই প্রথার ‘শিকার’। আফ্রিকা মহাদেশের ২৭টি দেশসহ ইন্দোনেশিয়া, ইরাকের কুর্দিস্তান, ইয়েমেন দেশগুলোতে মহিলাদের মুসলমানি একটি ধর্মীয় রীতি হিসেবেই প্রচলিত। আধুনিক বিশ্ব সৃষ্টি হওয়ার প্রায় শতবর্ষ আগে থেকেই এই রীতি মেনে আসছেন বহু মানুষ। অনেকের জীবনও গিয়েছে, অনেকে পঙ্গুত্বের শিকারও হয়েছেন তবে একবারেই বন্ধ হয়নি মহিলাদের মুসলমানি।শিশুকন্যার জন্মের পর থেকে ৪৯ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত যেকোনও সময়েই মুসলমানি করানো হয়। উল্লেখ্য যে, পুরুষদের ক্ষেত্রে এই মুসলমানি প্রথা বিশ্বের সর্বত্রই প্রচলিত কিন্তু মহিলাদের মুসলমানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অনেক আধুনিক দেশ। এমনকি এই প্রথার ব্যবহারিক প্রয়োগে কড়া শাস্তি হবে প্রয়োগকারীর এমন ব্যবস্থাও নিয়েছে অনেক দেশের সরকার।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে একসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ‘স্পটলাইট ইনিশিয়েটিভ’ চালু করা হয়েছে যা বিশ্বব্যাপী বহুবছর ধরে দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে নারীদের জিনগত বিকৃতি সহ মহিলা ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেল অ্যান্টোনিও গোট্রেস আন্তর্জাতিক দিবসের বার্তায় নারী ও মেয়েশিশুদের মানবাধিকারের ক্ষেত্রে পূর্ণ সম্মান প্রদানে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহনের মাধ্যমে জানান মহিলা যৌনাঙ্গের অঙ্গ বিচ্ছেদ হচ্ছে নারী ও মেয়েশিশুদের মানবাধিকার লঙ্ঘন। মেয়েদের মর্যাদা রক্ষা, স্বাস্থ্য ও কল্যাণের লক্ষ্যে সম্মিলতভাবে অবশ্যই এই ক্ষতিকারক প্রথা বন্ধ করতে হবে। সমন্বিত, ত্বরিত পদক্ষেপ ছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে আরো ৬৮ মিলিয়ন মেয়েশিশুরা এই ক্ষতিকারক প্রথার দ্বারা মারাত্নক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এধরনের কু-প্রথা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত। |