/ আন্তর্জাতিক / মালদ্বীপে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি
মালদ্বীপে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
|
মালদ্বীপে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন। সোমবার প্রেসিডেন্টের দফতরের আইনি বিষয়ক মন্ত্রী আজিমা শুকুর এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণার কথা জানান। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিহারুর খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মালদ্বীপের অ্যাটর্নি জেনারেল মোহামেদ অনিল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে আজিমা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বৃহস্পতিবারের নির্দেশনা সরকার পরিচালনায় বাধা দিচ্ছে বলে এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার ও আটক করার ক্ষেত্রে মালদ্বীপের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এক তরফা ক্ষমতা দেওয়া হলো। এতে দেশটিতে চলমান সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হলো। এর আগে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন সুপ্রিম কোর্টকে তাদের দেওয়া কয়েকটি আদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট বরাবর লেখা চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়। গত ০১ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট বিরোধী ৯ নেতার বিরুদ্ধে আনা সরকারের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে মুক্তির নির্দেশ দেয়। এছাড়া গত বছর সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বরখাস্ত হওয়া বিরোধীদলের ১২ সংসদ সদস্যকেও পুনর্বহাল করার আদেশ দেওয়া হয়। এসব আদেশ বাস্তবায়ন হলে প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন অভিশংসিত হতে পারেন বলে গুঞ্জনের মুখে বাতিল করা হয় সোমবারের ঘোষিত পার্লামেন্ট অধিবেশন। বিরোধী দলগুলোর সর্বাত্মক জোট রবিবার পার্লামেন্ট ভবনে বৈঠকের পর রাষ্ট্রের শীর্ষ দুই আইন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। এরপরই সেনাবাহিনী প্রেসিডেন্টের পক্ষ নিয়ে পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে ফেলেন। এর আগে বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরেই গ্রেফতার হন পুর্নবহাল হওয়ার আদেশ পাওয়া সাউথ মাচাংগলির সাংসদ আবদুল্লাহ সিনান ও ধনেনগাতির সাংসদ ইলহাম আহমেদ। পরে সোমবার তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন সুপ্রিম কোর্টকে তিনটি চিঠিতে আদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। সোমবার লেখা তৃতীয় চিঠিতে তিনি দেশের প্রধান বিচারপতির গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিল সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের আদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। ০১ ফেব্রুয়ারির আদেশের পর প্রধান বিচারপতি হাসান সায়িদের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তোলেন প্রেসিডেন্ট সমর্থকরা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতের তরফে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই আদেশ বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রেসিডেন্টের লেখা চিঠিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করে দেওয়ার আদেশ সংবিধানে দেওয়া প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এছাড়া আবদুল্লাহ ইয়ামিন সুপ্রিম কোর্ট ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রবিবার অ্যাটর্নি জেনারেল পুলিশ ও সেনাপ্রধানকে সঙ্গে নিয়ে টেলিভিশন ভাষণে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের ষড়যন্ত্র করছে। তবে এই আদেশ বাস্তবায়ন করবেন না তারা। সুপ্রিম কোর্টকে লেখা চিঠিতে আবদুল্লাহ ইয়ামিন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করে জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করছে। |