জয়পুরহাটের কালাই উপজেলাতে গত কয়ের দিন যাবত ফের জেঁকে বসেছে শীত আর এই শীতে বিভিন্ন স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে,সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশাও। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। ঘন কুয়াশা সঙ্গে বইছে ঠান্ডা বাতাস আর ক্রমেই শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে,এই কারনে কমছে তাপমাত্রা। উপজেলাতে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর দিনের বেলা ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়ায় গত কয়েক দিন যাবত উত্তাপহীন সূর্যের আলো মাঝে মধ্যে দেখা মেলে। ঘন কুয়াশার কারনে দিনের বেলায় বিভিন্ন যানবাহনগুলো হেডলাইট জ¦ালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করতে দেখা গেছে। জরুরি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে কেউ বাইরে বের হচ্ছে না,তবে বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন স্কুলের কমলমতি শিক্ষার্থী ও নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা। শীতের তীব্রতা কারণে বিভিন্ন হাট-বাজার ও শহরে আগের তুলনায় লোক সমাগম কমেছে। এই শীতে দেখা দিয়েছে মানুষ এবং গবাদি পশু-পাখির শীত জনিত বিভিন্ন রোগ-বালাই। গত কয়েক দিনের তুলনায় হাসপাতপালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার কৃষকদের বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল। এই শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে অনেক মানুষেরা খন্ড খন্ড করে খড়কুটাতে আগুন জ¦ালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। গরম কাপড়ের জন্য গরিব ও অভাবী মানুষেরা ভীর জমাচ্ছে পুরাতুন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। বিশেষ করে-এই কনকনে শীতে ও ঝিরঝির ঠান্ডা বাতাসে কাহিল হয়ে খুব কষ্ট পাচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। সব মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা,ফলে বিপর্যস্ত ও কাতর হয়ে পড়েছে এই এলাকার খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষেরা।
কালাই-বগুড়া মহাসড়কের বাস চালক মোসলিম উদ্দিন ও মাত্রাই-কালাই রোডের সিএনজি চালক আইজুল বলেন,ঘন কুয়াশার কারনে গাড়ীর সামনে হেড লাইট জ¦ালিয়ে ধীরগতিতে গাড়ী চলাতে হচ্ছে। গাড়ী নিয়ে রাস্তায় নামলেই মনে ভয় নিয়ে গাড়ী চলানো হচ্ছে।
এই শীতে কেমন আছেন জবাবে উপজেলার বহুতি গ্রামের প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক শামসুল আলম (৪৫) এই শিতে খুব কষ্টে আছো বা, আর বুজি বাচা যায় না।
শীতে মাছের বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) হাসান মাহমুদুল বলেন, শীতের কারনে এখন পর্যন্ত মাছের কোন ক্ষয়-ক্ষতি বিষয়ে জানা যায়নি।
এই শীতে ফসল বিষয়ে কালাই উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম বলেন, এই শীতে উপজেলাতে আবহাওয়া অনুকূলে ও রোগ-বালাই কম থাকায় আলুসহ বিভিন্ন ফলন ভালো হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলাতে গবাদি পশু-পাখির শীত জনিত রোগ তেমন হয়নি।
কালাই উপজেলাতে এই পর্যন্ত কতটা কম্বল আপনারা দিয়েছেন জবারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আফাজ উদ্দিন বলেন, কালাই পৌরসভার মেয়রসহ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাঝে প্রায় ৪ হাজার পিস কম্বল দেওয়া হয়েছে। আরও কম্বল বরাদ্দ চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।