/ সারাদেশ / স্বপ্নের পিছনে দৌঁড়ানো “ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত হও” প্রবন্ধের লেখক চকরিয়ার ” তামীম”
স্বপ্নের পিছনে দৌঁড়ানো “ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত হও” প্রবন্ধের লেখক চকরিয়ার ” তামীম”
সাঈদী আকবর ফয়সাল,চকরিয়া:
|
কক্সবাজারের চকরিয়ার সন্তান তানভীর মোর্শেদ তামীম। পরিচয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই তরুন কবির সাথে। এককথা, দুকথা বলতে বলতে কখন যে মুগ্ধ হয়ে যাই তরুন এই কবি-লেখকের প্রতিভা দেখে। হয়ত অাজকের ছোট্ট তামিম-ই একদিন বাংলাদেশের মানুষের কাঁছে পরিচিত হয়ে উঠবে অনেক বড় প্রতিভা হিসাবে, অাসলে প্রতিভাকেতো লালন করতে হয়, যত্ন করতে হয়। অামরা কজনই বা সেই ঘুমন্ত প্রতিভা গুলোকে বুঝতে পারি, চিনতে পারি?
স্কুলের গন্ডি পেরোইনি এখনো তামীম, ২০১৮ সালে এস,এস,সি পরিক্ষা দিচ্ছে চকরিয়ার জি,এন মিশনারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। ইতিমধ্যেই সে তরুন কবি ও লেখক হিসাবে নজর কেড়েছে সমগ্র কক্সবাজার অঙ্গনে। অনলাইন, প্রিন্ট মিডিয়ায়ও অনেক লেখালেখি হচ্ছে ইতিমধ্যে তার প্রতিভা ও লেখালেখি নিয়ে। ‘ এসেছি অামি গঞ্জনাহীন নতুন পৃথিবী গড়তে’, ‘ দুর্ণীতির বিস্ফোরন’, ‘অামরা কি পারিনা স্বপ্নগুলোকে বাঁচাতে’, ‘ মানবতা তুমি কি শুনতে পাওনা’, ‘ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ’ ‘ মা জননী ও কল্পনার পরী’—— এরকম তামীমের লিখা অারো অনেক কবিতা পড়ে অামি স্পষ্ঠতঃ বুঝতে পেরেছি এই তরুন কবি একদিন না একদিন অনেক বড় লেখক হতে পারবে। তানভীর মোর্শেদ তামীম ২০০২ সালের ১১ই মে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার পূর্ব বড় ভেওলাধীন মাহাপিয়া বাপের পাড়ায় এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।তার পিতা গোলাম মোর্শেদ ও মাতা মোস্তফা সোলতানা। ২০১২সালে পূর্ব বড় ভেওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তার প্রাথমিক শিক্ষাজীবন সাফল্যের সাথে সমাপ্তি ঘটে। এরপর ২০১৩ সালে জি এন এ মিশনারী উচ্চ বিদ্যালয়ে তার মাধ্যমিক শিক্ষাজীবনের সূচনা ঘটে।এই স্কুল থেকেই ২০১৮ সালের বিজ্ঞান বিভাগের এস এস সি পরীক্ষার্থী তামিম। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সৃষ্টি ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ইতিমধ্যে ছোট্ট এই কিশোর কবিটি। কক্সবাজার প্রবাল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে সে, এছাড়া ও চকরিয়ার আলোচিত সাংস্কৃতিক সংগঠন রেনেসা শিল্পী গোষ্ঠীর আবৃত্তি বিভাগের পরিচালকের দায়িত্বেও রয়েছে তামীম। মূলত বাংলা কবিতায় উচ্চ কন্ঠে প্রতিবাদী কবি হিসেবে তার আবির্ভাব। তার আশে-পাশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, অমানবিকতা তাকে প্রতিবাদী লেখায় উদ্বুদ্ধ করে বলে জানায় সে, প্রতিবাদ স্বরুপ কবিতা লিখায় সুচনা হলেও সে এখন লিখার প্রেরনা খুঁজে পায় প্রকৃতির পরতে পরতে। তামীমের কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। তার উল্লেখ যোগ্য প্রবন্ধ হল “ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত হও”। তার স্বপ্ন সে বড় হয়ে একজন নামকরা লেখক হবে। এছাড়া ও সে স্বপ্ন দেখে বড় হয়ে বাংলা একাডেমী পুরষ্কার, একুশে পদক সহ আরো নানান পুরষ্কার লাভ করবে। ইতিমধ্যে তিনি অনেক পুরষ্কার লাভ করেন। ২০১৭ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে চকরিয়া উপজেলায় শ্রেষ্ঠ রচনা লেখক এবং জেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ রচনা লেখক নির্বাচিত হন।এছাড়া ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সনদ লাভ করে।এখন ও সে তার স্বপ্নের পেছনে দৌড়ে বেড়ায়।—- ছোট্ট এই কবির সাথে কথা বলতে বলতে একসময় নিজেই হারিয়ে গেলাম স্বপ্ন অার কল্পনার রাজ্যে। শুভেচ্ছা অার অনেক বড় কবি হওয়ার প্রত্যাশা রইল ছোট্ট কবি তামীমের জন্য। |