প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ ১৬৪টি পয়েন্টে সোলার প্যানেলের বাতি বসানো হয়েছে। রাতে সৌর-বিদ্যুতে জ্বলছে বাতিগুলো আর সোলার প্যানেলের আলোয় আলোকিত করছে রাতে অন্ধকার থাকা এলাকার গ্রামীণ জনপথ ও বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান। এতে করে উপজেলাবাসী সৌর-বিদ্যুতের মাধ্যেমে অনেক সুফল পাচ্ছেন।
সরেজমিনে ও উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা গেছে, কালাই পৌরসভাসহ উপজেলার মাত্রাই, উদয়পুর, পুনট, জিন্দারপুর ও আহম্মেদাবাদ ওই পাঁচটি ইউনিয়ানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর কর্তৃক গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসুচীর আওতায় ৮৩ লাখ ৫১ হাজার ২৪ টাকা ব্যয়ে ১৬৪টি স্থানে সোলার হোম সিষ্টেম (ডি সি), সোলার এ সি সিস্টেম ও ষ্টীট সৌরবিদ্যুতের বাতি বসানো হয়েছে। এর মধ্যে ষ্টীট-স্টিলের লাইট ৫৪টি, সোলার হোম সিষ্টেম (ডি সি) ৯০টি এবং সোলার এ সি সিস্টেম লাইট ২০টি। প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌছে দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে স্থানীয় এম পি ও কালাই উপজেলা চেয়ারম্যানের পরামর্শ-ক্রমে উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে, বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, হাসপাতালে, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ ১৬৪টি স্থানে সোলার প্যানেলের বাতি বসানো হয়েছে। সূর্যাস্ত থেকে সূর্যদোয় পর্যন্ত সৌরবিদ্যুতে জ্বলে গ্রামীণ সড়কের ওই সব বাতিগুলো আর রাতে সোলার প্যানেলের আলোয় আলোকিত করে এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এর কারনে বিদ্যুতের কম ব্যবহার ফলে লোডশেডিং কম হচ্ছে এবং রাতের বেলা এলাকাতে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি ও রোড-ডাকাতি কম হচ্ছে। তাছাড়া উপজেলাবাসীরা রাতে যে কোন সময় নিজ নিজ প্রয়োজনীয় অনুযায়ী কাজে নির্ভয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করতে পারছেন।
সৌর-বিদ্যুতের সুফল পাওয়া বিষয়ে উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়ানের পুর্ব-কিষ্টপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ও সাইদুল ইসলাম বলেন, আগে হামাগেরে এলাকার বাজার ও সরগগুলা রাতে আনদার আচল। সৌরবিদ্যুতের আল জন্নে এখন বাজার ও সরগগুলা উজাল হচে। এর জন্নে হামাগেরে এলাকাত চুরি-চোট্টা অনেক কমে গেচে।
সোলার প্যানেল স্থাপনের বিষয়ে কালাই উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউদ্দিন আহমেদ  বলেন, উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ ১৬৪টি পয়েন্টে সোলার প্যানেলের বাতি বসানো হয়েছে এবং রাতে ওই সব বাতিগুলো জ্বলছে। বর্তমান সরকারের সোলার স্থাপন প্রকল্পটি একটি যুগান্তকারী প্রকল্প। নবায়ন যোগ্য জ্বালানীর ব্যবহারে মানুষের পাশাপাশি পরিবেশও উপকৃত হচ্ছে।
এই বিষয়ে কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন বলেন, পরিবেশ বান্ধব, সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ ওই সৌর-বিদ্যুত বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করায়, উপজেলাবাসী তাদের জান-মাল ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি মানুষের চলাচল করতে সুবিধা হচ্ছে।