/ আইন / আদালত / জ্যেষ্ঠতার লঙ্ঘন অতীতেও হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
জ্যেষ্ঠতার লঙ্ঘন অতীতেও হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম মনে করেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতার লঙ্ঘন হলেও এতে আইনি ও সাংবিধানিক কোনও ব্যত্যয় ঘটেনি। তার ভাষ্য, ‘অতীতেও এমন (জ্যেষ্ঠতার লঙ্ঘন) হয়েছে।’ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিক্রিয়ায় মাহবুবে আলম এ কথা বলেন।
শুক্রবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তবে নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির চেয়ে জ্যেষ্ঠতায় এগিয়ে ছিলেন ৩ অক্টোবর থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করে আসা আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কাছে প্রশ্ন ছিল, প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে নিয়োগ দেওয়ায় জ্যেষ্ঠতার লঙ্ঘন হয়েছে কিনা। জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, ‘এর আগেও এমন হয়েছে, জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে নিয়োগ না দিয়ে তার পরের জনকে দেওয়া হয়েছে। এতে আইনি ও সাংবিধানিক কোনও বাধা নেই। এর আগেও এমন হয়েছে।’ নতুন প্রধান বিচারপতির কাছে কী প্রত্যাশা করেন— এ প্রশ্নের উত্তরে মাহবুবে আলম বলেন, ‘বিচার বিভাগকে একদম কলুষমুক্ত করতে হবে। আগে কখনও বিচার বিভাগ সম্পর্কে বদনাম বা দুর্নাম ছিল না। এখন কিন্তু প্রচণ্ড দুর্নাম নানাদিকে। লোকজন নানা ধরনের কথাবার্তা বলে।’ তিনি বলেন, ‘যেসব বিচারপতি সম্পর্কে লোকজন বদনাম করে, তাদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচার বিভাগকে কলুষমুক্ত করতে হবে।’ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ১৯৯৯ সালে ২৪ অক্টোবর অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে পদোন্নতি পান। এরপর ২০০১ সালের ২৪ অক্টোবর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। পরে ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ছুটিতে যাওয়ায় গত বছরের ৩ অক্টোবর থেকে ওয়াহ্হাব মিঞা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ বছরের ১০ নভেম্বর আপিল বিভাগ থেকে তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। অন্যদিকে, নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। এরপর ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি স্থায়ী হন তিনি। ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পদোন্নতি পান তিনি। সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারির পর শুক্রবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা। |