/ সারাদেশ / ঝালকাঠি চেম্বার’র নির্বাচন পরিচালনা ও আপিল বোর্ডের রহস্যজনক পদত্যাগ!!
অভিযোগ ‘একটি পক্ষের ক্ষমতা দীর্ঘায়িতের ষড়যন্ত্র’
ঝালকাঠি চেম্বার’র নির্বাচন পরিচালনা ও আপিল বোর্ডের রহস্যজনক পদত্যাগ!!
আজমীর হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠি::
|
কোন প্রকার পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই ‘দ্যি ঝালকাঠি চেম্বার অব কমার্সের এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ’ এর ২০১৮-২০১৯ইং মেয়াদের নির্বাচন পরিচালনা ও আপিল বোর্ডের ৫ সদস্য রহস্যজনক ভাবে পদত্যাগ করেছে। বর্তমান কার্যকরী পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদোত্তীর্ন হওয়ার পূর্বে ৩ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা ও ৩ সদস্যের আপিল বোর্ডের মনোনীত করলেও তাদের পদত্যাগের মধ্যদিয়ে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি ফ্যাঁসে গেছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জেলা প্রশাসকের অধীনে একজন প্রশাসক নিয়োগ করে তার অধীনে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি একটি প্যানেল ও সাধারন ব্যবসায়ীরা সরকার ও মন্ত্রনালয়ের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন বলে জানাগেছে।
তাদের এ পদত্যাগের কারনে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী পূর্বঘোষিত নির্বাচন বানচাল, পুনরায় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে আইনী জটিলতা ও যার কারনে বিদায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ মেয়াদর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকার সুযোগ পাচ্ছে। এমন কি নেপথ্য একটি পক্ষের ইশারাতে নির্বাচন পরিচালনা ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানদ্বয়সহ সদস্যরা পদত্যাগ করেছে বলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি একটি প্যানেল নেতৃবৃন্দ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অভিযোগ তুলেছে। অভিযোগে জানা গেছে,‘দ্যি ঝালকাঠি চেম্বার অব কমার্সের এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ’ এর বর্তমান কমিটির মেয়াদোত্তীর্ন হওয়ার পূর্বে শিল্পমন্ত্রনালয়ের বানিজ্যিক সংগঠন পরিচালনার বিধিমালা অনুযায়ী নতুন দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জামায়াত সমর্থিত শিক্ষক নেতা নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম রব্বানী টিপুকে ও নির্বাচনী আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাকসহ ৬সদস্যের কমিটি গঠন করেন। গত ২১ নভেম্বর নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী টিপু ১০ ফেব্রুয়ারী ভোট গ্রহনের তারিখ ঘোষনা করে পূর্নাঙ্গ তফসিল প্রকাশ করেন। অভিযোগে উঠেছে, নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান, জামায়াত নেতা আলহাজ্ব গোলাম রব্বানী টিপু ও অযোগ্য আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাকদ্বয় নির্বাচনি তফসিল ঘোষনার পরেও বর্তমান চেম্বারের কার্যকরী পরিচালনা পর্ষদ তথা নির্বাচনী প্যানেলের প্রার্থী মাহাবুব হোসেন সমর্থিত প্যানেলের পক্ষে নানা ভূমিকা পালন করতে শুরু করে। বিষয়টি প্রতিদ্বন্দি প্যানেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ব্যবসায়ী ভোটারদের দৃষ্ঠিগোচর হলে তারা নির্বাচন পরিচালনা ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানদ্বয়ের সাথে আলোচনা করে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন। তা সত্বেও তাদের প্রত্যক্ষ প্রশ্যয়ে বিদায়ি পর্সদের পক্ষ থেকে চেম্বারের মনোগ্রাম সম্বলিত মগ উপঢৌকন হিসাবে বিতরন, পরিচালক প্রার্থী খোকন লাল ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখ ভারতে গমন করে ১৭ জানুয়ারী ২০১৮ তারিখ দেশে এলেও তার ৬ জানুয়ারী ২০১৮ তারিখ মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার বিষয়ে অভিযোগ সত্বেও বৈধতা দান, খসরা ভোটার তালিকা যাচাই বাছাইর নামে মাত্র ২ঘন্টা সময় প্রধান, তফসিল ঘোষনাসহ ভোটার তালিকা চুরান্ত করা সত্বেও ভোটারদের আইডি কার্ড প্রদানের নামে প্রভাবিত করনসহ একের পর এক কর্মকান্ড চালাতে থাকেন। আর এভাবে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের একটি পক্ষের ইশারায় পরিচালিত হওয়ার গুরুতর অভিযোগে তাদের প্রতি অনাস্থা ও তাদের পদত্যাগ দাবী করেন। এ অবস্থায় গত ২৭ জানুয়ারী কোন পূর্বঘোষনা না দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানদ্বয়সহ ৫সদস্য একযোগে পদত্যাগ করে নির্বাচনকে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দেয়া হয় বলে জানা গেছে। |