/ স্বাস্থ্য / ছয়শ' থেকে দেড় হাজার শয্যায় উন্নীত হচ্ছে মহাখালীর জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতাল
ছয়শ' থেকে দেড় হাজার শয্যায় উন্নীত হচ্ছে মহাখালীর জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতাল
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
৬০০ থেকে রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে দেড় হাজার শয্যায় উন্নীত করা হচ্ছে। আর এর মাধ্যমে সুযোগ তৈরি হচ্ছে আরও বেশি সংখ্যক রোগীর সুলভে সেবা পাওয়ার। পাশাপাশি আরও অধিক ছাত্রছাত্রী এখানে উচ্চশিক্ষা নেওয়া ও গবেষণা করার সুযোগ পাবেন। এসব তথ্য জানান বক্ষব্যাধি হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. শাহেদুর রহমান খান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত যক্ষ্মা বা টিবি হাসপাতাল ১৯৬২ সালে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়। আর ১৯৯৭ সালে এটি জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পরিণত হয়। হাসপাতালের নিজস্ব জমিতে ২০০৪ সালে পাঁচতলা ভবনবিশিষ্ট জাতীয় অ্যাজমা সেন্টার তৈরি করা হয়। বক্ষব্যাধি হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা বর্তমানে ৫০০ ও অ্যাজমা সেন্টারের শয্যা সংখ্যা ১৪০। এছাড়া এর বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। বক্ষব্যাধি চিকিৎসার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য এখানে ইন্সটিটিউটও রয়েছে। এ ইন্সটিটিউটে বক্ষব্যাধি সংক্রান্ত ছয়টি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি এখান থেকে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি নিতে পারেন শিক্ষার্থীরা। এখানে রেসপিরেটরি মেডিসিন ও থোরাসিক সার্জারি বিভাগ রয়েছে। এছাড়া রেডিওলজি, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ন্যাশনাল টিউবার কিউলোসিস বিভাগ রয়েছে। সূত্র আরও জানায়, বর্তমান বক্ষব্যাধি হাসপাতালের নিজস্ব জমিতে আলাদা ৬টি নতুন ভবনে ২০ তলা করে ৯০০ শয্যার নতুন হাসপাতাল তৈরি হবে। এই হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সেবা ও গবেষণার সুবিধা থাকবে। বর্তমানে বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে মোট ৬০০ শয্যা রয়েছে। শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি ও হাসপাতালের মানোন্নয়নের বিষয়টি বর্তমানে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বক্ষব্যাধি হাসপাতালের পরিধি বাড়ায় নতুন নতুন যন্ত্রপাতি আসবে, যা বক্ষব্যাধি সংক্রান্ত রোগ নির্ণয় ও গবেষণার দ্বার উন্মুক্ত করবে। হাসপাতালটির পরিধি বাড়লে বক্ষব্যাধি সংক্রান্ত শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও গতিশীল ও উন্নত হবে। একইসঙ্গে বিদেশে গিয়ে রোগীদের চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতাও কমবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। হাসপাতালের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রফেসর ডা. মো. শাহেদুর রহমান খান বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের ডাক্তার রয়েছেন প্রায় ১০০ জন। নার্স ও অন্যান্য স্টাফের সংখ্যা ৫০০ জন। শয্যা সংখ্যা বাড়লে ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের সংখ্যাও দ্বিগুণ হয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডাক্তারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। একটি স্পেশালাইজড হাসপাতালে যা যা সুযোগ সুবিধা থাকে, এর সবই এখানে থাকবে। সর্বোপরি এই হাসপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার উন্নয়ন ঘটবে।’ আরও বেশি সংখ্যক মানুষের সেবার কথা চিন্তা করে এই হাসপাতালের পরিসর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। |