/ সারাদেশ / সীতাকুণ্ডে পুলিশের গুলিতে কিশোর নিহতের ঘটনায় এসআইসহ গ্রেফতার ৩
সীতাকুণ্ডে পুলিশের গুলিতে কিশোর নিহতের ঘটনায় এসআইসহ গ্রেফতার ৩
নতুন বার্তা, সীতাকুণ্ড:
|
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি এলাকায় পুলিশের গুলিতে গ্রামবাসী এক কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশের এক এসআই, এক কনস্টেবল ও এক আনসার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। সিতাকুণ্ড থানার ওসি ইফতেখার হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল হুদা, কনস্টেবল আবুল কাশেম ও আনসার সদস্য ইসমাইল হোসেন। ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, ‘ পুলিশের গুলিতে নিহত সাইফুল ইসলামের ভাই আজ সিতাকুণ্ড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে এ ঘটনায় জড়িত এসআই নাজমুল হুদা, কনস্টেবল আবুল কাশেম ও আনসার সদস্য ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।’ মামলার আইও সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (অপরেশান) আবদুল হালিম জানান, তিনি এই মামলার আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন।আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে ভাটিয়ারি ইউনিয়ন পরিষদের তেলিপাড়ায় সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল হুদা, কনস্টেবল আবুল কাশেম ও আনসার সদস্য ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের গুলিতে সাইফুল ইসলাম (১৬) মারা যায়। এসময় কবির আহমেদ ভোলা (৫৫) ও ইমরান আলী জয় (১৯) নামে আরও দুই জন পুলিশের গুলিতে আহত হন। ঘটনার বিষয়ে ভাটিয়ারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজীম উদ্দিন জানিয়েছেন, অভিযুক্ত তিন পুলিশ সাদা পোশাকে রাত ৯টার দিকে তেলিপাড়া এলাকায় টহল দিতে গিয়ে রাস্তায় আড্ডারত তিন জনকে জোর করে ধরে নিয়ে যেতে চান। এসময় স্থানীয়রা বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর মারামারি ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের গুলিতে সাইফুল নামে একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, নিহত বা আহতদের পুলিশ গ্রেফতার করতে যায়নি। বরং, মাদক সেবনের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করতে গেলে গ্রামবাসী বাধা দেয়। তখনই ধস্তাধস্তির সময় গুলিতে নিহত এবং আহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পুলিশের এসআইসহ অভিযুক্ত তিন জনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। উল্লেখ্য গ্রেফতারকৃত উপ-পরিদর্শক নাজমুল হুদার গ্রামের বাড়ী গোপালগঞ্জের মোকশেদপুরে। |