/ প্রবাস বাংলা / বেলজিয়ামে জিয়া পরিবারের কোনো সম্পদ নেই: বেলজিয়াম বিএনপি
তারেক রহমানের কুটনৈতিক সাফল্য দেখে শেখ হাসিনা ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন
বেলজিয়ামে জিয়া পরিবারের কোনো সম্পদ নেই: বেলজিয়াম বিএনপি
নতুন বার্তা, বেলজিয়াম:
|
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন দেশে টাকা পাচারের যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বেলজিয়াম শাখা বিএনপি। বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের একটি হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানান বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি আহমদ সাজা ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বাবু। লিখিত বক্তব্যে ইকবাল হোসেন বাবু বলেন, গত ১০ই জানুয়ারি জাতীয় সংসদে এক বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর বেলজিয়াম, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। যে সম্পদের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন বাস্তবে সেই সম্পদের কোনো অস্তিত্বই নেই। বেলজিয়াম বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা এহেন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বহির্বিশ্বের সব দেশের সুসম্পর্ক ছিল। একইভাবে বেলজিয়াম সরকারের সঙ্গে জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আজো অটুট রয়েছে। তারেক রহমানের হাতধরে সেই সম্পর্ক উত্তরোত্তর ঘনিষ্ঠ হয়েছে। আগামী নির্বাচনে নিশ্চিত ভরাডুবি জেনে ও জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়েই সরকার এই সব অসত্য ও বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করছে। তিনি অভিযোগ করেন, বেলজিয়ামে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতাদের সাথে ও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রতিটি গ্রুপের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তারেক রহমানের কূটনৈতিক সাফল্য দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েছে। তাই বেলজিয়ামে তারেক রহমানের নামে প্রচুর অর্থ রয়েছে বলে জাতীয় সংসদে অসত্য মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন অতীতে ওয়ান-ইলেভেন সরকারের দায়ের করা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির মামলাও এই আওয়ামী সরকার প্রমাণ করতে পারেনি। শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার তন্য তন্য করে সারা বিশ্বে খোঁজ করেও আজ পর্যন্ত কোনো সম্পদের অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি। উল্টো । এছাড়া গত ডিসেম্বরে সৌদি আরবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও বিলাসবহুল মার্কেট রয়েছে বলে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করেছিলেন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ওই বক্তব্য চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এমনকি বানোয়াট ওই বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে উকিল নোটিসও পাঠানো হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। তবে প্রধানমন্ত্রীর তরফে আজ পর্যন্ত ওই উকিল নোটিসের জবাব দেয়া হয়নি। তাই ধারাবাহিক এসব কল্পকাহিনী প্রচারের মূল উদ্দেশ্যই হলো দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা। একইসঙ্গে রাজনৈতিকভাবে তাকে জনগণের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা মাত্র। খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সম্পদের ‘কল্পকাহিনী তৈরি করে জোর করে গণমাধ্যমে দিয়ে তা প্রচারের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এটা শুধুমাত্র শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়নতা, রাজনৈতিক সংকীর্ণতা, অন্তঃসার শূণ্যতা ও দেউলিয়াপনাই প্রমাণ করে। প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য শুধু রাজনীতিকে কুলষিত করছে না ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে রাজনীতিবিদন সম্পর্কে একটি ভ্রান্ত ধারনা সৃষ্টি করছে। আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে স্পষ্ট করে বলতে চাই এই সব বক্তব্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। অবিলম্বে এই মানহানিকর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেলজিয়াম বিএনপির সহসভাপতি আলী জাহাঙ্গীর, সহসভাপতি সৈয়দ মাহমুদ আক্কাস, সহসভাপতি আবুল হাসনাত শামছুল, সহসভাপতি রাকিব হাসান প্রধান, সহসভাপতি গোলাম নবী শ্যামল, সহসভাপতি আবু বক্কর, সহসভাপতি কবির আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী নুর শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিক আহমদ বাপ্পী সহ যুগ্ম সম্পাদক জসিম মোল্লা, তাহশিক হক, ওসমান হাসান লিটন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মোল্লা, অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ফখরুল ইসলাম পাপন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মাকসুদা সালাম মলি, যুবদলের আহ্বায়ক কাজী রহিমুল বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির মোড়ল মাসুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মোস্তাফা বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফ উদ্দিন ইরানী, যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন রাফি, যুবদল নেতা শরিফ সাদিক প্রমুখ। |