একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ ও পরিচ্ছন্ন নিরাহংকার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বর নাম হলো জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ফকরুল আহসান (শাহ্জাদা মুন্সী)। ছাত্রজীবন থেকেই নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন রাজনীতির সাথে। তিনি মনে করেন সুষ্ঠ ধারার রাজনীতির মাধ্যমেই সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা সম্ভব। তিনি আরও মনে করেন, একজন দক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তি যখন জনপ্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেন তখন তার নির্বাচনী এলাকা একটি মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গি ও সামাজিক অবক্ষয়মুক্ত এলাকা হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব। পাশাপাশি এলাকার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা এবং জনগণের পাশে থেকে উন্নয়ন কর্মকান্ড তরান্বিত করা সম্ভব। ফকরুল আহসান শাহ্জাদার জন্ম বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার সফিপুর গ্রামে। তার পিতা মৃত- মুনসী আঃ রব এবং মাতা বেগম ফজিলাতুননেছা। ফকরুল আহসান শাহজাদা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এস.সি (অনার্স) এম.এস.সি ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি এলএল.বি পাশ করেন।
ছাত্রজীবন থেকেই ফকরুল আহসান শাহ্জাদা ছাত্র অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত হন। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক দর্শনে মুগ্ধ হয়ে তিনি ১৯৮৬ সালে ঢাকা মহানগরের কোতোয়ালী থানা জাতীয় ছাত্র সমাজের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় ছাত্র সমাজের ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারই ধারাবাহিকভাবে তিনি জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে পরবর্তীতে ফকরুল আহসান শাহ্জাদা জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি এবং সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
জাতীয় ছাত্র সমাজকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ফকরুল আহসান শাহ্জাদা জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন। ২০০৯ সালে জাতীয় পার্টির যুব সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরিশ্রমিক রাজনৈতিক সংগঠক ফকরুল আহসান শাহ্জাদা ২০১৬ সালের ১৮ আগস্ট জাতীয় যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পান। সেই দায়িত্ব যথাযথ পালন করার ফল স্বরূপ ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে সুনাম ও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন ফকরুল আহসান শাহ্জাদা। তিনি ১৯৮৪ সালে ঢাকাস্থ হিজলা-মুলাদী ছাত্র কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে ঢাকাস্থ বরিশাল ছাত্র কল্যান সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে বৃহত্তর বরিশাল ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
ফকরুল আহসান শাহ্জাদা রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি একজন শিক্ষানুরাগী হিসাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একাধারে মুলাদী উপজেলার সৈয়দ বদরুল হোসেন কলেজ, চরকালেখান কামিল মাদ্রাসা ও বোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চরডিগ্রি সিনিয়র মাদ্রাসা বিদ্যুৎসাহী সদস্য হিসাবে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে দায়িত্ব পালন করেন। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভেদুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরপদ্মা রাশেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এলাকার বন্দর, রাস্তঘাট উন্নয়নের ফকরুল আহসান শাহ্জাদা প্রশংসিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি একাধারে পূর্ব-চরপদ্মা চেয়ারম্যান বাজার, সোনামদ্দিন বন্দর, মাদ্রাসা বাজার সহ বিভিন্ন বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জাতীয় পার্টিও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহজাদা একজন সফল জনপ্রতিনিধি হিসিবে সফলতার সাথে বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
সফিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে তিনি এলাকার জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। ঐ সময়ে তার উল্লেখ্য যোগ্য কর্মকান্ডের মধ্যে সৈয়দ বদরুল হোসেন কলেজ এমপিভূক্ত করণ, সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন, ৮ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ, ৫ কিলোমিটার রাস্তা হেরিংবন, ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা, ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নির্মান, ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নির্মান, চরপদ্মা সিনিয়র মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মান, সফিপুর ইউনিয়নে ৬১টি ব্রীজ ও কালভার্ড নির্মান, বাড়ী বাড়ী পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়ন, সফিপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মান, শিক্ষার হার বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ। গরীব ও বেকারদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ, বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার শিক্ষা, বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প চালু, গরীব মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান, ইউএসআইডির সহযোগিতায় ৭ হাজার পরিবারের মধ্যে হাস, মুরগী, ছাগল, গরু, ভ্যান ও ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য ব্যবসায়ী সরঞ্জামাদী বিতরণ, চরমালিয়া কেল্লা নির্মাণ, ২টি নতুন বাজার স্থাপন, বরিশাল-শরীয়তপুর সীমানা নির্ধারনে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল খনন। সকল খেয়াঘাট ইজারামুক্ত, সকল মসজিদ, মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিআর, কাবিখা বরাদ্দ, ৩টি নতুন মসজিদ নির্মান, সকল রাস্তার আইডি নম্বর নিশ্চিতকরণ, মৃধারহাট-ভেদুরিয়া ব্রীজের সয়েলটেস্ট করানো, গজারীয়া নদীর উপর ব্রীজ নির্মান, বেপারীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ৬ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ, বাজারে মিডসেট, ফিসসেট, ভেজিটেবলসেট নির্মান। মহিলা ও পুরুষদের জন্য ২টি পৃথক টয়লেট নির্মানসহ শতশত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন বলে তিনি জানান।
সাবেক ছাত্রনেতা ফকরুল আহসান শাহ্জাদা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনে তিনি জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পাবেন। মনোনয়ন পেলে মুলাদী-বাবুগঞ্জবাসীর ভালোবাসায় তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ারও আশা করেন। তিনি এ প্রতিবেদকে বলেন, বরিশাল-৩ আসনে উন্নয়ন নিয়ে তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা মীরগঞ্জ নদীর উপর মুলাদী-বাবুগঞ্জ ব্রীজ নির্মান, আবুপুর-মৃধারহাট ব্রীজ নির্মাণ, বুয়াই ব্রীজ নির্মাণ মূল চিন্তার বিষয়। ফকরুল আহসান শাহ্জাদা বলেন, একটি সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ ও সামাজিক অবক্ষয় মুক্ত একটি জনপদ হবে এই (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) বরিশাল-৩ সংসদীয় আসনটি। আর আমি সুযোগ পেলে বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনকে আধুনিক ভাবে গড়তে চাই। এ জন্য সকলের দোয়া ও আর্শিবাদ কামনা করছি।