/ অর্থনীতি / বাণিজ্য / ত্রুটিপূর্ণ ম্যাপ, জিপিএস ও নারী গ্রাহকদের রাইডার কর্তৃক ভোগান্তি ‘পাঠাও’ সেবায়
ত্রুটিপূর্ণ ম্যাপ, জিপিএস ও নারী গ্রাহকদের রাইডার কর্তৃক ভোগান্তি ‘পাঠাও’ সেবায়
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পাঠাও। শুরুর পরপরই দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠে জ্যামের শহর ঢাকায়। অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পাঠাও-এর সেবা নিয়ে গ্রহকদের অভিযোগও রয়েছে শুরু থেকেই। জিপিএস সিস্টেম ও ম্যাপে ত্রুটি এবং রাইডার কর্তৃক গ্রাহকদের হয়রানি এরমধ্যে অন্যতম। এরমাঝেই ‘পাঠাও ফুড’ নামে আরো একটি নতুন সেবা চালু করেছে। এ উপলক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন পাঠাও কর্তৃপক্ষ। এ সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তারা। সম্মেলনের শেষদিকে উপস্থিত সাংবাদিকরা একে একে অভিযোগের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত একজন পাঠাও ব্যবহারকারী সাইড শেয়ারিং সার্ভিসের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, গত তিনমাস আগে তিনি কারওয়ান বাজার থেকে মিরপুরে গেছেন পাঠাও বাইকের মাধ্যমে। রাইডের জন্য রিকোয়েস্ট দেওয়ার সময় সর্বোচ্চ ভাড়া ২২০ টাকা দেখালেও গন্তব্যে পৌঁছে তিনি পরিশোধ করেন ২৯০ টাকা। এ বিষয়ে তিনি ও রাইডার তাত্ক্ষণিক অভিযোগ জানান। তিনমাস অতিক্রম করলেও আজ পর্যন্ত ওই অভিযোগকারীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। অভিযোগকারী আরো জানান, হেল্পলাইনে কল করলেও তেমন কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায় না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আরো একজন অভিযোগকারী জানান, পাঠাও-এর কার শেয়ারিং সার্ভিস নিয়ে তিনিও পড়েছিলেন মহাবিপাকে। দ্রুত তাকে যেতে হবে একটি বিশেষ মিটিংয়ে যোগ দিতে, তাই তিনি পাঠাও-এ রিকোয়েস্ট পাঠান। রিকোয়েস্ট গ্রহণের পর তাকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয় আড়াই ঘণ্টারও বেশি। অভিযোগকারীর মোবাইল অ্যাপে গাড়িটি দেখায় ওয়াসা ভবনের আশেপাশে, কিন্তু রাইডারকে কল করলে সে জানায় গাড়িটি বাংলামটরে রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, স্বল্প দূরত্বের রিকোয়েস্টগুলো রাইডার কর্তৃক বাতিল করার অভিযোগ অনেক আগে থেকেই রয়েছে। উপস্থিত এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, বৃষ্টি নামের তার এক নিকট আত্মীয় পাঠাও রাইড শেয়ারিং সার্ভিস ব্যবহার করেছিল। পরবর্তীতে ওই রাইডার বিভিন্ন নম্বর থেকে বৃষ্টিকে সময় অসময়ে বিরক্ত করা শুরু করে। বৃষ্টি অভিযোগ জানিয়েছিল, তবে আজো এর কোনো সুরাহা হয়নি। উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলনে পাঠাও এর সিইও হুসেইন এম ইলিয়াস, সিফাত আদনান, আহমেদ ফাহাদ, পাঠাও রাইডসের ভাইস প্রেসিডেন্ট কিশ্বর হাশমী, আইচআর এবং কালচারের ডিরেক্টর সিফাত হাসান, মার্কেটিং ম্যানেজার সায়েদা নাবিলা মাহাবুব, পাঠাও ফুডের সিনিয়র ম্যানেজার ফারজানা শারমীনসহ উচ্চপদস্থ আরো অনেক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও অভিযোগকারীদের প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে যান তারা।
|