আদালতের নির্দেশ মেনে হজযাত্রায় আর কোনও ভর্তুকি নয় বলে গতকাল মঙ্গলবার জানিয়ে দিল ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার।
হজযাত্রীরা যাতে সস্তায় বিমানের টিকিট পান, তার জন্য এত দিন ভর্তুকি দিত ভারত সরকার। সুপ্রিম কোর্ট এই ভর্তুকি ধাপে ধাপে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশই রূপায়িত হল। জানিয়েছেন ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি।
‘‘তোষণ নয়, মর্যাদার সঙ্গে সংখ্যালঘুর ক্ষমতায়নের যে নীতি আমরা অনুসরণ করি, এটা তারই অঙ্গ।’’ বলেছেন নকভি। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘হজে ভর্তুকি থেকে মুসলিমরা কোনও ভাবে উপকৃত হন না। আমরা মর্যাদার সঙ্গে উন্নয়নে বিশ্বাসী। ভর্তুকিতে যে টাকা খরচ করা হত, তা মেয়েদের শিক্ষায় খরচ করা হবে।’’
২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্ট হজে ভর্তুকি তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। আদালত ২০২২ সাল পর্যন্ত সময় দিয়েছিল সরকারকে। তার মধ্যেই ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ তুলে দিতে হবে ভর্তুকি, নির্দেশ ছিল এমনই।
আদালতের নির্দেশ মেনে হজযাত্রার উপর থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়া যায় কী ভাবে, সে বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতামত চেয়েছিল কেন্দ্র। মতামত নেওয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হল। জানানো হল, এ বছর থেকেই উঠে যাচ্ছে হজের ভর্তুকি।
সৌদি আরব এ বছরই ভারতীয়দের জন্য হজের কোটা বাড়িয়েছে। গত বছর ১ লক্ষ ৭০ হাজার ভারতীয়কে হজে যাওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছিল সৌদি। এ বার সেই কোটা বাড়িয়ে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার করা হয়েছে। মুখতার আব্বাস নকভি জানিয়েছেন, ভারতীয় মুসলিমরা যাতে কম খরচে হজে যেতে পারেন, তার জন্য বিমানের পাশাপাশি জাহাজে করে সৌদি আরবে যাওয়ার পথও এ বার খুলে দেওয়া হচ্ছে।