/ সারাদেশ / বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য নির্বাচনে কেন্দ্র দখল ও কারচুপির দায়ে বিএনপি প্যানেলের ভোট বর্জন
আ’লীগ সমর্থিত প্যানেল জয়ী
বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য নির্বাচনে কেন্দ্র দখল ও কারচুপির দায়ে বিএনপি প্যানেলের ভোট বর্জন
আজমীর হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠি:
|
পুলিশ পাহারায় ভোটকেন্দ্র দখল ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী সুগন্ধিয়া মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থিত ম্যানেজিং কমিটির প্যানেল জয়লাভ করেছে। ভোট গ্রহন শুরুর মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে সরকারী দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা পুলিশ নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে প্রতিদ্বন্দি প্যানেলের এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সীল মেরে তাদের বিজয় নিশ্চিত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে শতভাগ জয়লাভের সম্ভাবনা থাকা সত্বেও আওয়ামীলীগ সমর্থিত কমিটির পক্ষে ভোট ডাকাতী ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ তুলে সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপি সমর্থিত প্যানেলর প্রার্থীরা নির্বাচন বয়কট ও বর্জনের ঘোষনা দেয়। গত ১১ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার ঝালকাঠির উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের সুগন্ধিয়া মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য পদের নির্বাচনে এঘটনা ঘটেছে। সরেজমিনে পরিদর্শন কালে ও স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সুগন্ধিয়া মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য পদে ভোট গ্রহন শুরু হয়। মোট ভোটার ৪৮৮ জন অভিভাবক ভোটার এ নির্বাচনে ভোট দেয়ার কথা থাকলেও সকাল ১১টায় ভোটকেন্দ্রে পৌছে প্রায় এক ঘন্টা অতিবাহিত হলেও কোন ভোটারের লাইনে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়নি। সাংবাদিকদের পরিদর্শন কালে বুথের মধ্যে ২/১ জন লোক ঘোরাফেরা করতে ও কেন্দ্রের সম্মুখে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে। এ অবস্থার মধ্য দিয়েই বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন শেষে সরকার দল সমর্থিত আব্দুল রহিম আজাদ, আব্দুল আজিজ হাওলাদার, কামাল শরিফ, শাখাওয়াত হোসেন সদস্য পদে ও ঝর্না বেগম সংরক্ষি মহিলা সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছে বলে প্রিজাইডিং অফিসার ফলাফল ঘোষনা করেন। সরেজমিনে পরিদর্শন কালে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের কয়েকজন প্রার্থী জানান, নির্বাচনে নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব, ক্ষমতার বলে এজেন্টদের বের করে দেয়া, ভোটরদের প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করাসহ নানা রকমের অনিয়ম হয়েছে। বিষয়টি প্রিজাইডিং অফিসারকে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থাই য়েনি। নিরুপায় হয়ে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ভোট এ প্যানেলের প্রার্থী মো. মাইদুল ইসলাম, নাইম খান, দেলোয়ার মোল্লা ও ওমর হোসেন ফরিদ নির্বাচন বয়কট ও বর্জন করেছি। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম হারুন-অর-রশীদ জানান,‘ মোট ভোটার ৪৮৮ জন এর মধ্যে ৩৯৪ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তবে কোন প্রার্থীর ভোট বর্জনের খবর তার কাছে লিখিত ভাবে দেয়া হয়নি বলে জানান। এব্যাপারে বিনয়কাঠি ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সরদার এনামুল হক এলিন বলেন, সাধারন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনেও এধরনের লজ্জাজনক কারচুপি ও এজেন্ট বের করে দেয়া একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এর মধ্য দিয়ে বর্তমান আওয়ামীলীগ যে জনগনের ভোটে বিম্বাসী নয় তা আরো একবার প্রমান হলো। |