/ অর্থনীতি / বাণিজ্য / প্রার্থী খোকনের স্বাক্ষর জাল ও নাসিরের প্রার্থীতা অবৈধ দাবী
ঝালকাঠি চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন
প্রার্থী খোকনের স্বাক্ষর জাল ও নাসিরের প্রার্থীতা অবৈধ দাবী
আজমীর হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠি:
|
আসন্ন ঝালকাঠি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর ২০১৮-১৯ সালের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে অংশ নেয়া দুই প্রার্থীর মনোনয়ন পত্রের বৈধতার বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে। এর মধ্যে খোকন লাল ব্রহ্মের স্বাক্ষর জাল ও নাসির উদ্দিন আহম্মেদ টানা ছয় বছর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য থাকায় তাদের মনোনয়ন পত্রের বৈধতার ব্যাপারে আপত্তি করা হয়। ঝালকাঠি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচনের তালিকাভূক্ত ভোটার মো. ছবির হোসেন এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন। সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। অভিযোগ উত্থাপিত দু’জন বিগত দিন থেকেই জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সমর্থিত বর্তমান সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহাবুব হোসেনের প্যানেলভূক্ত ছিলো, এবারেও সেই প্যানেলেই অন্তর্ভূক্ত থাকবে বলে জানাগেছে। অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা ও অভিযোগপত্র সূত্রে জানাগেছে, ঝালকাঠি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর ২০১৮-২০১৯ইং সালের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী গত ৬ জানুয়ারী মনোনয়নপত্র দাখিলে শেষ দিন ধার্য করা হয়। এসময় অর্ডিনারী গ্রুপের সদস্য পদে প্রার্থী হিসাবে খোকন লাল ব্রহ্ম ৬ জানুয়ারি নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন বলে দেখা যায়। প্রকৃত অর্থে খোকন লাল ব্রহ্ম গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য ভারতে যান ও ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ফিরে আসেনি। কিন্তু তিনি কিভাবে এ নির্বাচনে ৩০ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ও সেই মনোনয়নপত্র পূরন করে নির্বাচনের প্রার্থী হলেন সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। আমাদের ধারনা মনোনয়ন পত্রে জাল স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে প্রার্থী করা হয়েছে। তাই স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সার্থে উক্ত মনোনয়নপত্র পূনরায় যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন। সূত্রে আরো জানা গেছে, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আসন্ন নির্বাচন অর্ডিনারী গ্রুপের সদস্য পদে প্রার্থী হিসাবে নাসির উদ্দিন আহম্মেদ তার মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও তিনি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বিগত মেয়াদে টানা ছয় বছর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তাই বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক তার এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার কোন বৈধতা নেই বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। কারন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের গত ২০০২ সালের ৩১ জুলাই প্রেরীত এক পরিপত্র রয়েছে যে একাধারে ছয় বছর কেউ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হলে তারপর তিনি কার্যনির্বাহী কমিটিতে থাকতে পারবেন না। তাই তিনি চতুর্থ দফায় তার মনোনয়নপত্র দাখিল করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঝালকাঠি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. গোলাম রাব্বানি বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। নির্বাচন পরিচালনার আপত্তি-নিস্পত্তি বোর্ডের কাছে এই অভিযোগ দেয়া হবে। তারা বৈঠক করে আগামী ১৫ জানুয়ারি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিবেন। |