/ সারাদেশ / রাতভর ‘থার্টি ফাষ্ট নাইট’ উৎসব ও খুনী ছাত্রলীগ কর্মির সেলফি
ফলোআপ- মোটরসাইকেল চালককে খুনের নেপথ্য কাহিনী ফাঁস
রাতভর ‘থার্টি ফাষ্ট নাইট’ উৎসব ও খুনী ছাত্রলীগ কর্মির সেলফি
আজমীর হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠি:
|
নলছিটির রেন্টেমোটরসাইকেল চালক রোমান হোসেন (২০)কে নির্মম ভাবে জবাই করে হত্যার পর প্রধান খুনী ও মাদকাসক্ত ছাত্রলীগ কর্মি মোঃ রোহান রাতভর ‘থার্টি ফাষ্ট নাইট’ এর বর্ষবরনের উৎসব করেছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। ৩১ ডিসেন্বর নলছিটি ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত বর্ষবরনে ও পিকনিকে অংশ গ্রহন খুনী রোহান কেক কাটাসহ আনন্দ উৎসবে মাতোয়ারা ছিলো বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে। রোমান খুনের ঘটনায় যাতে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমান না হয় তার কৌশল হিসাবে সে উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে সেলফিতে ছবিও তুলে রাখার তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে রোমান হত্যা ও খুনী আমানউল্লাহকে গ্রেপ্তারের সংবাদ মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হলেও মঙ্গলবার বিকেলে নলছিটি শহরে অপর খুনী ছাত্রলীগ কর্মী রোহান বীরদর্পে ঘুরে বেড়ালে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে পড়ে। এ সময় স্থানীয় জনতা তাকে ধাওয়া দিয়ে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও পৌরসভার সম্মুখে রোহান কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। হত্যার নেপথ্য কারন হিসাবে মটোরসাইকেল লুটে নেয়ার জন্য বন্ধু রুপী দুই ছাত্রলীগ কর্মী আমানউল্লাহ ও রোহান পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে কাহিনী বেড়িয়ে এসেছে। পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, রবিবার বেলা ১১ টায় বন্ধু আমানউল্লাহ আমান ও মোঃ রোহান এক হাজার টাকা ভাড়ার চুক্তিতে রেন্টেমটোরসাইকেল চালক নিহত রোমানকে দপদপিয়া যাওয়ার কথা বলে ভাড়া করে। রাত গভীর হলেও সে বাড়ীতে না ফেরায় তার সেলফোনে কল করে সেটিও বন্ধ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। এদিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী খুনী আমানউল্লাহ ও রোহান মোটরসাইকেলটি লোপাটের উদ্দেশ্যে নিহত রোমানকে দপদপিয়ার বদলে বাকেরগঞ্জের আমানউল্লাহর দাদা বাড়ি নিয়ে একটি ঘরে আটকে রাখে। পরে আমানউল্লাহ ও রোহান রাতের অন্ধকার নামলে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে রোমানকে জবাই দিয়ে হত্যার করে। হত্যাকান্ড সম্পন্ন করার পর লাশ ঘুম করতে আমানউল্লাহকে তার দাদা বাড়িতে রেখে অপর খুনী ছাত্রলীগ কর্মি রোহান এসে নলছিটি ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত বর্ষবরন ও পিকনিক অনুষ্ঠিানে যোগ দেয়। অন্যদিকে বাকেরগঞ্জের দাদা বাড়িতে অবস্থান করে খুনী আমানউল্লাহ রাতভর চেষ্টা করেও নিহত রোমানের লাশ সরাতে না পাড়ায় সকাল বেলা খুনের বিষয়টি খাসেরহাট এলাকাবাসীর কাছে জানাজানি হয়ে গেলে গ্রামবাসী খুনী আমানুল্লাহকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। সে পুলিশের কাছে রোহানের সংশ্লিষ্টতার কথা জানায়। উল্লেখ্য, গত বছর এই দুই খুনী গাজাসহ আটক হয়ে একমাস হাজতবাস করেছে। জামিনে এসে আমানুল্লাহ নলছিটি পৌর মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় চুরি করতো বলে জানা গেছে। এদিকে সুবিদপুর গ্রামের ছেলে রোহান ছাত্রলীগের কোন পদবীতে আছে কিনা তা জানা সম্ভব হয়নি। |