/ সারাদেশ / রৌমারীতে আওয়ামীলীগ নেতা ও পুত্র কর্তৃক সাংবাদিককে মারধর!
রৌমারীতে আওয়ামীলীগ নেতা ও পুত্র কর্তৃক সাংবাদিককে মারধর!
সাখাওয়াত হোসেন সাখা, রৌমারী (কুড়িগ্রাম):
|
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে আওয়ামীলীগ নেতার হামলায় দৈনিক জনতা’র রৌমারী প্রতিনিধি আহত। সংবাদে কিছু কু-কর্ম পত্রিকায় প্রকাশ করায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক জনতা’র রৌমারী উপজেলা প্রতিনিধি সাখাওয়াত হোসেন (সাখা)। মঙ্গলবার (২জানুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে আওয়ামীলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম ওরফে লাল এবং তাঁর পুত্র সোহেলসহ অজ্ঞাত ক্যাডাররা সাখাওয়াত কে বেদম মারধর করে সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়েছে। স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রৌমারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “এলাকার বিভিন্ন বিষয় কু-কর্মের তথ্য পত্রিকায় প্রকাশ করলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সন্ত্রাসী আশরাফুল ও তাঁর ছেলে সোহেল বিভিন্ন ঘটনা থেকে চাঁদা না পাওয়ায় আমার উপর এধরনের হামলা চালায়।” ঘটনার দিন সাংবাদিক সাখাওয়াত দাঁতভাঙ্গা বাজার থেকে তাঁর বাড়ি ফেরার পথে পথরোধ করে সোহেলের ভারাটে ৪ থেকে ৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে ঘিরে ফেলে। বলে, আমরা তোকে আজ মেরেফেলব। এলাকার কু-কর্ম ফাঁস করায় আমরা কোন ভাগ পাই না। শুধুতোর কারণে। সাংবাদিক শিখাবো? পালাবি না মার খাবি। তারা সবাই লাঠি ও দেশী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত থাকা সাংবাদিক ঘটনা স্থলে থেকে দৌঁরে পালানোর চেষ্ঠা করলে তাঁরা ঐ সাংবাদিক ধরে বেধম মারপিট করে। পরে সন্ত্রাসী সোহেল তাঁর বাবাকে মোবাইল ফোনে ডেকে আনে এবং তাঁর বাবা এ সুযোগে ঐ সাংবাদিককে হত্যার চেষ্ঠায় গলা চেপে ধরে এবং মারধর করে। জীবন বাঁচাতে দৌড়ে পার্শ্ববর্তী সন্তোস কামারের দোকানে পেছনে লুখিয়ে পড়ি। ততক্ষনে সাংবাদিককে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ঐ সাংবাদিকের বাড়িতেও হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এর বিচার চায় এলাকাবাসী ও স্থানীয় সাংবাদিকরা। উল্লেখ্য, বিভিন্ন বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। এর জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করে। এ বিষয় দাঁতভাঙ্গা আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম (বিএসসি) বলেন, লাল ও তাঁর ছেলে সোহেল সাংবাদিকের ওপর রাতের আধারে রাস্তা পথরোধ এবং মারধর করা ঠিক হয়নি। এ বিষয় বসা হবে। এ প্রসঙ্গে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, সাখাওয়াত বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে সাংবাদিকের ওপর পাশবিক হামলার নিন্দা ও জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করেছেন উপজেলা প্রেসক্লাব-রৌমারী’র সকল সদস্যবৃন্দ। বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তারা’র সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন সম্পাদক শওকত আলী মন্ডল, মাজহারুল ইসলাম, সাইফুল ইসলামসহ প্রমুখ। |