/ অপরাধ / সুদের টাকা পরিশোধ না করায় ইয়াবা ব্যবসায়ী পিটিয়ে হত্যা করলো হতদরিদ্র মোটর মেকানিক্সকে!
সুদের টাকা পরিশোধ না করায় ইয়াবা ব্যবসায়ী পিটিয়ে হত্যা করলো হতদরিদ্র মোটর মেকানিক্সকে!
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
|
সুদের টাকা পরিশোধ না করায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এক মোটর মেকানিক্সকে বাড়িতে ধরে নিয়ে আটকে রেখে বৃহস্পতিবার পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।’ নিহতের নাম, শাহিন মিয়া (২৬)।’ তিনি উপজেলার বড়দল উওর ইউনিয়নের শিমুলতলা গরিয়াজ গ্রামের হতদরিদ্র রিক্সা চালক আজাদ মিয়া ও ছালেমা বেগম দম্পতির ছেলে।’ শাহিন উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারে দোকানকোটা ভাড়া নিয়ে গত এক বছর ধরে মোটর মেকানিক্সের কাজ করে আসছিলেন।’ জানা গেছে, উপজেলার বারহাল গ্রামের আবদুল আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বাবলু সুদের পাওনা আট (০৮) হাজার টাকার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদাঘাট বাজার থেকে মোটরসাইকেল সহ শাহিনকে ধরে নিয়ে গিয়ে নিজ বাড়ি বারহালে আটকে রাখেন। পাওণা টাকা আদায়ের জন্য বাবলু বসতবাড়িতে আটকে রেখে শাহিনকে বেধরকভাবে পিটিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে শারিরীক নির্যাতনে শাহিনের মৃত্যু হলে বাবলু ও তার সহযোগীরা মুখে বিষ ঢেলে চিকিৎসার জন্য রাতে অসুস্থ হয়ে গেছে জানিয়ে শাহিনকে তারই পরিবারের লোকজনকে দিয়ে কৌশলে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।’ রাত ১১ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহিনকে মৃত ঘোষণা করলে সদর মডেল থানা পুলিশ তার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন। নিহত শাহিনের মা ছালেমা বেগম শুক্রবার রাতে বললেন, এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসবায়ী বাবলু আমার ছেলেকে বাড়িতে টাকার জন্য আটকে রেখেছে এ খবর পেয়ে আমি বিকেলে বারহাল তার বাড়িতে গিয়ে তার ও তার লোকজনের হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করে ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে তারা আমার ছেলেকে ছাড়েনি এমনকি আমার ছেলের সাথে দেখাও করতে দেয়নি।’ বাড়ির সামনের একটি দোকানে আমাকে দিনভর বসিয়ে রেখে বিদেয় করে দেয়।’ তিনি আরো বলেন, বাবলু তার অপর ভাই ও তাদের আরো দু’সহযোগী শিমুলতলার কদ্দুছ মিকারের ছেলে মুক্তার ও একরাম হোসেন মিলে আমার ছেলেকে বাড়িকে আটকে রেখে মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্বহত্যা নাঠক সাজিয়েছে।’ উপজেলার বারহাল গ্রামের আবদুল আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বাবলুর বক্তব্য জানতে শুক্রবার রাতে কয়েকদফা তার মুঠোফোনে কল করলেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।’ তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা বাবলুর বাড়ি থেকে শাহিনের নিকট থেকে আটকে রাখা প্লাটিনা ১০০ সিসি একটি মোটর সাইকেল শুক্রবার জব্দ করেছে।’ তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর বাবলুর বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল জব্দ করার বিষয়টি শুক্রবার রাতে নিশ্চিত করে বললেন, এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, এলাকার ভোক্তভোগীরা জানিয়েছেনব, বাবলু শুধু শাহিনকেই নয় এলাকার বহু লোককে চড়া সুদে টাকা দিয়ে তা আদায় করার জন্য বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে মারধর, জমি-জমাও লিখে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।’ তিনি আরো বলেন, বাবলু ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারে পুলিশী চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। |