/ শিক্ষা / কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯৭ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকের চিঠি
কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯৭ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকের চিঠি
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মহানগরের স্বনামধন্য আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯৭ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ চিঠিতে থাকা অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিস্তারিত তালিকা রয়েছে। গতকাল রবিবার দুদক সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত চিঠিটি সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষের কাছে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, এই শিক্ষকরা অনৈতিক ও অবৈধ কার্যক্রম কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ অনুযায়ী সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা’ ১৯৮৫ এর অধীনে অসদাচরণ করেছেন গণ্য করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। চিঠিতে উল্লেখিত বেসরকারি স্কুলগুলোর মধ্যে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৬ জন শিক্ষক, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৪ জন, ঢাকা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ জন, রাজউক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫ জন রয়েছেন। আর সরকারি চারটি স্কুলের মধ্যে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ জন, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৪ জন, খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ জন এবং ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের ৮ জন শিক্ষক রয়েছেন। আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের যেসব শিক্ষক অভিযুক্ত: নাজিম উদ্দিন কামাল (ইংরেজি), আব্দুল মান্নান (রসায়ন), উম্মে ফাতিমা (বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরচিয়), মো. আজমল হোসনে (বাংলা), গোলাম মোস্তফা (গণিত), আশরাফুল আলম (রসায়ন), বাবু সুবাস চন্দ্র পোদ্দার (রসায়ন), লাভলী আখতার, তাসমিন নাহার, মতিনুর (ইংরেজি), উম্মে সালমা (ইংরেজি), মো. আব্দুল জলিল (ব্যবসায় শিক্ষা), মোহাম্মদ ফখরুদ্দীন (রসায়ন), মনিরা জাহান (ইংরেজি), ফাহমিদা খানম পরী (গণিত), লুৎফুন নাহার (গণিত), হামিদা বেগম (গণিত), নাজনীন আক্তার (গণিত), উম্মে সালমা (ইংরেজি), তৌহিদুল ইসলাম (ইংরেজি), সুরাইয়া জান্নাত (ইংরেজি), মো. সফিকুর রহমান-৩ (গণিত ও বিজ্ঞান), মো. শফিকুর রহমান সোহাগ (গণিত ও বিজ্ঞান), নুরুল আমিন (গণিত), মনিরুল ইসলাম (ইংরেজি), রফিকুল ইসলাম (সমাজ বিজ্ঞান), গোলাম মোস্তফা (গণিত), অহিদুজ্জামান (বাংলা), মাকসুদা বেগম মালা, আলী নেওয়াজ আলম করিম, মো. আবুল কালাম আজাদ ও মো. আব্দুর রব এবং বনশ্রী শাখার মো. শফিকুল ইসলাম (ইংরেজি), মো. মাহবুবুর রহমান (পদার্থবিজ্ঞান), মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (গণিত) ও আব্দুল হালিম (গণিত)। মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের যেসব শিক্ষক অভিযুক্ত: সহকারী প্রধান শিক্ষক এনামুল হক, মেজবাহুল ইসলাম (ইংরেজি), সুবীর কুমার সাহা (গণিত), মো. সাইফুল ইসলাম, মোহনলাল ঢালী, বাসুদেব সমদ্দার, বকুল বেগম, আসাদ হোসেন (ইংরেজি), প্রদীপ কুমার বসাক, আবুল খায়ের, শারমীন খানম, মো. কবীর আহমদে, খ ম কবির আহমেদ, মো. দেলোয়ার হোসেন, মাও. কামরুল হাসান, মো. রুহুল আমিন-২, মো. কামরুজ্জামান, শেখ শহীদুল ইসলাম, শুকদেব ঢালী, হাসান মঞ্জুর হিলালী, আমান উল্লাহ আমান, হামিদুল হক খান, রমেশ চন্দ্র বিশ্বাস ও চন্দন রায়। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের যেসব শিক্ষক অভিযুক্ত: প্রভাতী শাখার সহকারী শিক্ষক কামরুন্নাহার চৌধুরী (ইংরেজি ভার্সন), ড. ফারহানা (পদার্থবিজ্ঞান), সুরাইয়া নাসরিন (ইংরেজি), লক্ষ্মী রানী, ফেরদৌসী ও নুশরাত জাহান। রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিযুক্ত শিক্ষকরা: এ বি এম মইনূল ইসলাম (গণিত), মো. আলী আকবর (গণিত), মো. রেজাউর রহমান (গণিত), মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম (ইংরেজি) ও মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (রসায়ন)। মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষকরা : প্রভাতী শাখার সহকারী শিক্ষক আবুল হোসনে মিয়া ( ভৌতবিজ্ঞান), মো. মোখতার আলম (ইংরেজি), মো. মাইনুল হাসান ভূঁইয়া (গণিত), মুহাম্মদ বেলায়েত হোসনে (গণিত), মুহাম্মদ আফজালুর রহমান (ইংরেজি), মো. ইমরান আলী (ইংরেজি), দিবা শাখার সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ কবীর চৌধুরী, এ বি এম ছাইফুদ্দীন ইয়াহ, মো. মিজানুর রহমান, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. জহিরুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন বেপারী। মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষকরা : প্রভাতী শাখার সহকারী শিক্ষক নূরুন্নাহার সিদ্দিকা (সামাজিক বিজ্ঞান), দিবা শাখার সহকারী শিক্ষক শাহ মো. সাইফুর রহমান (গণিত), মো. শাহ আলম (ইংরেজি), মোসা. নাছমা আক্তার (ভূগোল)। গর্ভনমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের অভিযুক্ত শিক্ষকরা: মো. শাহজাহান সিরাজ (গণিত), মোহাম্মদ ইসলাম (গণিত), জাকির হোসেন (ইংরেজি), মো. শাহজাহান (গণিত), মো. আবদুল ওয়াদুদ খান (সামাজিকবিজ্ঞান), মো. আলতাফ হোসেন খান (ইংরেজি), মো. আযাদ রহমান (ইংরেজি) ও রণজিৎ কুমার শীল (গণিত)। খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষকরা: সহকারী শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছয় সদস্যের একটি অনুসন্ধানী দল এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে তথ্যানুসন্ধান করেন। এ কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. আবদুল ওয়াদুদ, মনিরুল ইসলাম, ফজলুল বারী ও উপসহকারী পরিচালক আতাউর রহমান। |